সৈয়দ হাসবি -
এই বিষয়ের উপর একটি গবেষোণায় বলা হয়েছে আমরা নিজেদেরকে যেমন ভাবি অন্যরা এর চেয়ে ২০% বেশি সুন্দর দেখে। আবার অন্য আরো গবেষণায় এর উল্টোটাও বলা আছে যে আমরা আয়নায় নিজেদের যেমন সুন্দর ভাবি অন্যরা আমাদেরকে এর চেয়ে আরো কম আকর্ষণীয় দেখে।
বিউটি ব্রেইন লুপ বা সৌন্দর্য শুধু বাহ্যিক চেহারায় না বরং মন এবং চেহারার কম্বিনেশন। ড.ডেব্রা এবং ড.এভা মানুষের সৌন্দর্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করা দুজন ব্যাক্তি এবং এই বিষয়ে তাদের লিখা বই The Complete Formula For Looking And Feeling Beautifu। তাদের মতে শুধু মুখের উপরিভাগ দিয়েই অন্যরা আমাদের সৌন্দর্য বিচার করেনা এর সাথে জড়িত থাকে সাইকোলজিক্যাল ব্যাপার। এবং মুলত অন্যরা আমাদের কতটুকু সুন্দর বলে ভাব্বে সেটা নির্ভর করে আমাদের অভ্যন্তরীন সৌন্দর্য বা মনের সৌন্দর্য, আমাদের স্বাস্থ্য, এবং বাহ্যিক/মুখের সৌন্দর্য, তাছাড়া বাইরের পরিবেশের ও প্রভাব থাকে।
অভ্যন্তরীন সৌন্দর্যের মধ্যে থাকে মানষিক এবং ইমোশনাল দিক, আত্নসম্মান, আত্ম সচেতনতা, আত্মবিশ্বাস।
সাস্থের সৌন্দর্যের মধ্যে থাকে দেহের গঠন, ব্যায়াম, সুস্থ জীবনযাপন ইত্যাদি।
বাহ্যিক সৌন্দর্যের মধ্যে থাকে আমাদের ত্বক, চুল ,নখ, মেক-আপ এসব।
আয়নায় আমরা যখন চেহারা দেখি সেখানে শুধু বাহ্যিক দিকের ই কিছুটা প্রতিফলিত হয়, বাকি দিকগুলো সেক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয়না, এমনকি বাহ্যিক রুপের ও সম্পূর্ণটা চোখে পরেনা আয়নায়, কারণ আয়নায় চেহারা কিরকম দেখাচ্ছে সেটাও নির্ভর করে ঠিক কতটুকু আলো আয়না থেকে প্রতিফিলিত হয়ে আমাদের চোখে পরছে তার উপর, তাছাড়া আয়না হচ্ছে একটা দিমাত্রিক ত্বল, কিন্তু আমাদের প্রিথিবীটা ত্রিমাত্রিক, অন্যরা আমাদের ত্রিমাত্রিক ভাবেই দেখে এর ফলেও নিজেদের আয়নায় যেমন দেখি অন্যদের দেখার সাথে সম্পূর্ণ তা মিলবেনা।(যে কারণে ছবি এবং বাস্তবে দেখতে সবাই এক হয়না)
আয়নায় আমরা বাহ্যিক চেহারাও সেভাবে দেখছিনা যেভাবে অন্যরা দেখতে পায়, আর এতে নিজের চেহারা যেমনটা দেখছি বা ভাবছি বুঝতেই পারছেন তা অন্যদের ভিউ থেকে আলাদা হবে, আর ইনার বিউটি ত এক্ষেত্রে থাকছেই না অথচ বাকিরা কিন্তু আমাদের সৌন্দর্য শুধু বাহিরের দিক দেখে নয় ইনার+আউটার লুক দেখে যাচাই করে।
একটি গবেষণায় বলেছে অন্যরা আমাদের ২০% বেশি সুন্দর দেখে, এটা কতটুকু সত্য তার শতভাগ সম্ভাব্যতা না থাকলেও, আমরা নিজেদের যেমন দেখি অন্যরা আমাদের ঠিক এরকম ই দেখেনা তা ১০০ ভাগ সত্য বলা যায় ই।