ঘরোয়া উপায়ে গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায় কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+8 টি ভোট
310 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (110,330 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+3 টি ভোট
করেছেন (110,330 পয়েন্ট)
ঘরোয়া উপায়ে গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায়-

১. ডাবের পানি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকাংশেই দূর করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ফাইবার, যা হজমশক্তি বাড়ায় এবং পাশাপাশি অ্যাসিডিটি কমায়। এছাড়াও বুক জ্বালা পোড়া ও পেটে ব্যথা কমাতে ডাবের পানি অত্যন্ত কার্যকরী।
২. আদায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমূহ। এগুলো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সক্ষম। এজন্য গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যখন জেরবার, তখন আদায় রাখুন ভরসা। এক্ষেত্রে কিছুটা আদা চিবিয়ে রস খেতে পারেন। অন্যথায় এটি পানিতে পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে চায়ের মত পান করুন। নিমিষেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

৩. ভারতীয় চিকিৎসক রুপালি দত্ত বলেন, গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি দেয় কাঁচা পেঁপে। এজন্য পেঁপের জুস বানিয়ে বা ফালি করে কেটে সামান্য লেবু মিশিয়ে খেতে হবে।

৪. যারা প্রতিনিয়ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন, হাতের কাছে বেকিং সোডা রাখুন। এটি অ্যান্টাসিডের ন্যায় কাজ করে। পেটে জমে থাকা অ্যাসিডের পরিমাণ মুহূর্তেই দূর করে বেকিং সোডা। এজন্য এক চা চামচ বেকিং সোডা পানির সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে পানি করুন।

৫. আলসারের সমস্যায় বাঁধাকপির জুড়ি মেলা ভার। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন ইউ। নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে কিছুদিনের মধ্যেই এতে থাকা ভিটামিন ইউ এর প্রভাবে পেটের যাবতীয় সমস্যার সমাধান হয়। এটি জুস হিসেবে পান করুন প্রতিদিন। স্বাদ বাড়াতে বাঁধাকপির সঙ্গে গাজরও মিশিয়ে নিতে পারেন।
এই উপায়গুলো মেনে চললে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এর পাশাপাশি খাবারে অনিয়ম ও ভাজা পোড়া জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

সূত্র: এনডিটিভি
0 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)
অনিয়মিত খাওয়ার রুটিন, ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবারসহ নানা কারণে অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন ছেলে-বুড়ো সবাই। এর লক্ষণ হিসেবে বেশির ভাগ সময়ই আমরা দেখি পেট ফাঁপা, বুক ও গলা জ্বালাপোড়া করা এবং বদহজম। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই সমাধান খোঁজেন ওষুধে। কিন্তু প্রথম দিকে ওষুধ কাজ করলেও পরবর্তী সময়ে ওষুধ আর তেমন কাজে দেয় না।

অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সবচেয়ে বড় দাওয়াই হলো এর প্রতিরোধ। কিছু নির্দিষ্ট জিনিস আছে, যা আমাদের অ্যাসিডিটির সমস্যাকে বাড়ায় করে। যেমন, কারও টানা না খেয়ে থাকলে, কারও ভাজাপোড়া খেলে, কারও অনেকক্ষণ রোদে থাকলে, কারও কারও ক্ষেত্রে সেটা বিশেষ কোনো খাবারও হতে পারে। কিসে আপনার অ্যাসিডিটি দেখা দেয়, সেটা এড়িয়ে চলাই উত্তম। তবে যদি অ্যাসিডিটির সমস্যায় পড়েই যান, তাহলে কিন্তু হাতের নাগালে থাকা অতি সাধারণ কিছু উপাদান আপনাকে এই অস্বস্তি থেকে মুক্তি দিতে পারে।

১. পানি : অ্যাসিডিটির জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপার সমস্যা থেকে বাঁচতে পানি পান করুন প্রচুর পরিমাণে। অ্যাসিডিটি হলে পানি পান করলে পেটের গ্যাস বের হয়ে আসতে পারে এবং অস্বস্তিভাব দূর হয়। আর যদি আপনি নিয়মিত প্রয়োজনীয় পানি পান করেন, তাহলে আপনার অ্যাসিডিটির সম্ভাবনাও কমে যাবে। কারণ, আমাদের হজম ও পরিপাকক্রিয়ায় পানি খুবই জরুরি একটি উপাদান। আর হজম ও পরিপাক যদি স্বাভাবিক হয়, তাহলে অ্যাসিডিটি এমনিতেও হবে না।

২. আদা : আদার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে দারুণ কার্যকরী। আদা কুচি করে সামান্য লবণসহযোগে চিবিয়ে খেলে অ্যাসিডিটি অনেকটাই উপশম হয়ে আসে। আবার চাইলে আদাকুচি পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানিও খেতে পারেন। তবে পরিমাণে খুব বেশি নয়, তা না হলে উল্টো আপনার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

৩. পুদিনাপাতা : অ্যাসিডিটির সমস্যায় দু–তিনটি পুদিনাপাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। চিবিয়ে খেতে খারাপ লাগলে এক কাপ পানিতে কয়েকটি পুদিনাপাতা দিয়ে সেদ্ধ করে পানিটা খেতে পারেন। বমিভাব, জ্বালাপোড়া দূর করে সতেজ ভাব আনতে পুদিনাপাতার জুড়ি নেই।

৪. মেথি : এক গ্লাস পানিতে এক চা–চামচ মেথিগুঁড়া মিশিয়ে খেলে অ্যাসিডিটির জ্বালাপোড়া অনেকাংশে কমে। অথবা এক চা–চামচ মেথি দানা এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেটা খেলেও উপকার পাওয়া যায়।

৫. দারুচিনি : এক গ্লাস পানিতে আধা চা–চামচ দারুচিনির পাউডার মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। এটি খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যায় আরাম পাওয়া যায়। পাউডার খেতে অস্বস্তি লাগলে ৪–৫ টুকরা দারুচিনি দুই কাপ পানিতে জ্বাল দিয়ে নির্যাসসহ পানিটা খেতে পারেন।

৬. পেঁপে : পেঁপেতে থাকা প্যাপেইন অ্যানজাইম আমাদের হজমপ্রক্রিয়াকে সহজতর করে। ফলে অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হতে পারে না। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে রাখতে পারেন দু–এক টুকরা পেঁপে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+4 টি ভোট
2 টি উত্তর 730 বার দেখা হয়েছে
12 ফেব্রুয়ারি 2021 "বিবিধ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Pushpita Roy (5,630 পয়েন্ট)
+6 টি ভোট
3 টি উত্তর 426 বার দেখা হয়েছে
+6 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,942 বার দেখা হয়েছে
+10 টি ভোট
3 টি উত্তর 622 বার দেখা হয়েছে
27 জানুয়ারি 2021 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন noshin mahee (110,330 পয়েন্ট)

10,772 টি প্রশ্ন

18,455 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

262,978 জন সদস্য

106 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 104 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  2. Ara36G464962

    100 পয়েন্ট

  3. NonaHeinig7

    100 পয়েন্ট

  4. TaylorVandeg

    100 পয়েন্ট

  5. AmyGillingha

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা #science পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...