UV রশ্মি আমাদের জন্য কতটুকু ক্ষতিকর? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+6 টি ভোট
833 বার দেখা হয়েছে
"রসায়ন" বিভাগে করেছেন (2,740 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+6 টি ভোট
করেছেন (34,670 পয়েন্ট)

UV রশ্মিকে অতিবেগুনী রশ্মি বলা হয় ৷

 

আবিদ হাসান রাফি

image

অতিবেগুনী রশ্মি এক ধরনের তড়িৎ-চুম্বকীয় বিকিরণ যার তরঙ্গদৈর্ঘ্য দৃশ্যমান আলোর চেয়ে ছোট এবং রঞ্জন রশ্মির চেয়ে বড়। এই রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য ১০০ ন্যানোমিটার থেকে ৪০০ ন্যানোমিটার এবং শক্তি ৩ ইলেকট্রন-ভোল্ট থেকে ১২৪ ইলেকট্রন-ভোল্ট।সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি বা আলট্রা ভায়োলেট রে মূলত তিন ধরনের—এ, বি এবং সি। আমরা যেহেতু বিষুব রেখার কাছাকাছি থাকি, তাই আমাদের দেশে এ এবং বি বেশি পাওয়া যায়। অতিবেগুনি রশ্মি বেশি ছড়ায় সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত, অর্থাৎ যখন ছায়া নিজের চেয়ে ছোট থাকে। এখন দেখা যাক এই অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি পড়লে ত্বকের কী ক্ষতি হতে পারে।সূর্যরশ্মির মতো আমাদের ত্বকেরও নানা প্রকারভেদ আছে। ত্বকে মেলানিনের মাত্রার ওপর নির্ভর করে এই প্রকারভেদ। আমাদের ত্বকে ইউ মেলানিন বা তামাটে মেলানিনের মাত্রা বেশি বলে আমরা সূর্যালোকের সঙ্গে কিছুটা বেশি খাপ খাইয়ে নিতে অভ্যস্ত। শ্যামবর্ণের মানুষ তাই প্রখর সূর্যালোকে ‘ট্যান’ হয়, কিন্তু ‘বার্ন’ হয় না। ফলে ক্ষতির মাত্রা কিছুটা কম।আবার ইয়েলো মেলানিন যাদের বেশি, যেমন অস্ট্রেলীয় বা পাশ্চাত্যের অনেক দেশে ত্বকের এই ফটোপ্রোটেকশন ক্ষমতা কম। ফলে ত্বকে পোড়াটে ভাব আসে, ত্বকের বিশেষ ক্ষতিও হয়। অস্ট্রেলিয়ায় এ কারণে ত্বকের ক্যানসার পরিচিত এক রোগ। সব ধরনের ক্যানসারের মধ্যে এটি দশম।ক্যানসার ছাড়াও সূর্যের সরাসরি আলো ত্বকের আরও কিছু ক্ষতি করতে পারে। অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি ত্বকের ওপর পড়লে ত্বকের নিচের কানেকটিভ টিস্যুর কোষগুলো ভেঙে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ধীরে ধীরে ত্বকের টান টান ভাব নষ্ট হয়। যাঁরা সূর্যের আলোতে বেশি কাজ করেন, তাঁদের ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে যায়, কুঁচকে যায়, বলিরেখা পড়ে। তা ছাড়া সূর্যের আলোয় ত্বক দ্রুত আর্দ্রতা হারায়। এই সমস্যাগুলোকে ফটোড্যামেজ বলা হয়। এর বাইরে তিল পড়া, কালো পিগমেন্টেশন হওয়া, মেছতা পড়া, ডার্ক স্পট, কেরাটোসিস ইত্যাদির কারণও এই অতিবেগুনি রশ্মি।

মোটকথায়,অতিবেগুনি রশ্মির অতিরিক্ত মাত্রার ক্ষতিকর দিকঃ

১. ত্বকের ক্যান্সার হতে পারে;

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়;

৩. চোখে ছানি পড়ে এবং অন্ধত্ব বেড়ে যায়;

৪. খাদ্যশস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়;

৫.বীজের উৎকর্ষ নষ্ট হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+5 টি ভোট
1 উত্তর 832 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 1,381 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
1 উত্তর 342 বার দেখা হয়েছে
+9 টি ভোট
1 উত্তর 1,675 বার দেখা হয়েছে
+14 টি ভোট
1 উত্তর 218 বার দেখা হয়েছে

10,733 টি প্রশ্ন

18,381 টি উত্তর

4,731 টি মন্তব্য

243,496 জন সদস্য

20 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 20 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. MIS

    300 পয়েন্ট

  2. shuvosheikh

    180 পয়েন্ট

  3. তানভীর রহমান ইমন

    160 পয়েন্ট

  4. Soiyod771

    110 পয়েন্ট

  5. Aditto Roy

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি #ask চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ #science পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...