Warman Hasbi-
উচ্চ তাপমাত্রার আগুনে মাংস পুড়ালে এর ফ্যাট থেকে হেটারোসাইক্লিক এমাইন নামক রাসায়নিক উপাদান উৎপন্ন হয়। এই হেটারোসাইক্লিক এমাইন মানুষের জিনের ক্ষতি করতে পারে যার ফলে ক্যান্সার হবার ঝুঁকি থাকে এবং এর ফলে পাকস্থলী এবং কোলন ক্যান্সার হবার ঝুঁকি বেশি থাকে।
এছাড়া গবেষণায় পুড়া মাংসে বেনজোপাইরিন পাওয়া গেছে, এটা ফুসুফুস বা দেহের অন্য অংগের কোষের ডিএনএ তে প্রভাব ফেলে যার ফলে ক্যান্সার হবার ঝুকি থাকে।
গরু, শুকর সহ অন্যান্য বেশি চর্বিজাতীয় মাংস পুড়ালে ওই কেমিক্যাল গুলো থাকার সম্ভাবনা বেশি, চামড়া সহ মুরগীর মাংস পুড়ালেও ঝুকি বেশি।
তাই ঝুঁকি এড়াতে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা যায় যেমন গ্যাসের আগুনে গ্রিল করা, এতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায় ফলে সরাসরি উচ্চ তাপ না লাগায় হেটারোসাইক্লিক এমাইন উৎপাদন এর সম্ভাবনা কমবে, এছাড়া পুড়ানোর আগে মাংস ফয়েল দিয়ে পেচিয়ে নেয়া বা সেদ্ধ করে তারপর পুড়ানো, অথবা গ্রিল করার সময় ভালভাবে চর্বি পরিষ্কার করে নিলেও ঝুঁকি কমবে কারণ চর্বি পুড়েই মূলত ক্ষতিকর ক্যামিক্যালগুলো উৎপন্ন হয় তাই চামড়া ছাড়া মুরগী পুড়ানো গরু বা অন্য মাংসের গ্রিলের তুলনায় কম ঝুকিপূর্ণ।