এর মুল কারণ হলো, পানির মধ্যে থাকা সারফেস টেনশন। এটা এক রকমের আকর্ষণ শক্তি, যা পানির অণুগুলোকে আকর্ষণ বলে টেনে এনে তাকে সম্ভাব্য ক্ষুদ্রতম আকার প্রদান করে। দেখা গেছে, যত রকম আকার বস্তু ধারণ করতে পারে সেই সকলের মধ্যে গোলাকৃতি বস্তুর পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল সবচেয়ে কম। পিরামিড, ঘন, ত্রিভুজ বা অনিয়মিত কোণের বাহিরের দিককার তলের যে ক্ষেত্রফল আছে তার চেয়ে ওই পরিমাণ পদার্থের তৈরি গোলকপৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল কম। পাইপে ফু দিলে সাবান এর পানি ফুলে ওঠে এ অবস্থায় পাইপ থেকে মুক্ত করার সাথে সাথে সেটা সারফেস টেনশনের প্রভাবের কারনে গোলাকার ধারণ করে। বুদবুদের ভেতরের থাকা বাতাস বাইরের দিকে চাপ দেয় আর সারফেস টেনশনের শক্তি তাকে সমভাবে চাপ দিয়ে রাখে। বাতাসের চাপ বেশি হলে বুদবুদ ফেটে যাবে, আর কম হলে চুপসে যাবে। বাবল গামের বেলায়ও প্রায় একই ব্যাপার ঘটে। তবে এখানে সারফেস টেনশনের পরিবর্তে গামের রাবারের স্থিতিস্থাপক শক্তি কাজ করে। সারফেস টেনশনের মতো স্থিতিস্থাপক শক্তিও সব সময় রাবারকে ক্ষুদ্রতম আকার দেওয়ার চেষ্টা করে। বাবল গাম মুখের বাতাসে ফুলিয়ে তুললে রাবারের স্থিতিস্থাপক শক্তি তাকে ভেতরের দিকে চাপ দেয়। এই দুই চাপের ভারসাম্য তাকে বেলুনের মতো গোল করে রাখে