নাহিদা আফরিন-
খাবারে প্রচণ্ড অরুচি, কিছুই মুখে নিতে ইচ্ছে করে না। এমন দিন অনেক সময় আসে। অনেক কারণেই এটা হতে পারে। যকৃতের সমস্যায়, জন্ডিসে রুচি কমবেই। পাকস্থলীর বা অন্ত্রের সমস্যায়, অম্লতায়, সংক্রমণ বা ক্যানসারের কারণে বিশ্রি ধরনের অরুচি হয়। কিডনির রোগীদেরও একই সমস্যা। নানা ধরনের ওষুধে রুচি কমে যেতে পারে। এমনকি বিষন্নতায় বা উদ্বেগজনিত মানসিক রোগেও এটা হতে পারে। আবার এমন হতে পারে যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও রুচি কমার কোনো কারণ পাওয়া যায় না। তার মানে হয়তো খাবারটাই হয়ে পড়ছে ক্লান্তিকর ও বিস্বাদ। বড় কোনো রোগবালাই ছাড়া রুচি কমে এলে তা বাড়ানোর কিছু উপায় চেষ্টা করা যায়।
পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার বেছে নিন
যাঁরা বেশি খেতে পারছেন না বা খেতে ইচ্ছে করে না, তাঁরা এমন খাবার বেছে নিন, যা কম খেলেও বেশি পুষ্টি দেবে। যেমন, শাকসবজি বা ফলমূল, গোটা শস্য, বাদাম, বীজজাতীয় খাদ্য এবং আমিষ। যেমন, মাছ, মাংস বা দুধ। চিপস, বেকিং করা খাবার, ফাস্ট ফুড পেটের ভরা ভরা ভাব আরও বাড়াবে এবং খিদে আরও কমিয়ে দেবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার এবং মাছ ও মুরগির আমিষ মস্তিষ্কের খিদে কেন্দ্রকে উজ্জীবিত করে। একবারে বেশি পরিমাণে না খেতে পারলে বারবার অল্প পরিমাণে খান।
খাবারকে দৃষ্টিনন্দন করুন
বিজ্ঞানীরা বলেন, আমরা কেবল মুখ ও জিভ দিয়ে খাই না, চোখ-নাক দিয়েও খাই। মানে খাবারের স্বাদ কেবল নয়, গন্ধ, রং ও চেহারাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই খাদ্য প্রস্তুতের সময় খাবারের চেহারার দিকে মনোযোগ দিন। বিভিন্ন রং ও স্বাদ যোগ করুন। যেমন—ক্যাপসিকাম, লেটুস, টমেটো ও বিভিন্ন রঙের ফলমূল। গন্ধ বাড়াতে লেবুর রস, সিরকা, সরিষা, বিভিন্ন মসলা।
খাওয়ার সময় বেশি পানি নয়
পানি বা তরল খাবেন দুটি আহারের মধ্যবর্তী সময়ে। আহারের মাঝখানে নয়। খাওয়ার সময় বেশি পানি বা পানীয় খেলে পেট অল্পতে ভরে যাবে। কফি-চা-জুস ইত্যাদি বেশি গ্রহণ করলেও খাবারের ইচ্ছে কমে আসে।