পুঞ্জাক্ষী হলো ক্রাস্টাসীয় ও পতঙ্গ প্রভৃতি সন্ধিপদি প্রাণীদের দর্শণেন্দ্রীয়। পুঞ্জাক্ষি অনেকগুলো ওমাটিডিয়ামের সমষ্টি। ওমাটিডিয়াম হলো কর্নিয়া, লেন্স ও আলোক সংবেদি কোষ দ্বারা নির্মিত ক্ষুদ্র সংবেদী একক, যা আলোর উজ্জ্বলতা ও রং শনাক্ত করতে সক্ষম। সন্ধিপদীদের যৌগিক চোখ বা পুঞ্জাক্ষি দ্বারা গৃহীত আলোক উপলব্ধি হলো মূলত পাশাপাশি কিন্তু ঈষৎ ভিন্ন দিকে সজ্জিত অসংখ্য ওমাটিডিয়া থেকে আগত আলোক সংকেতের সমষ্টি। একক চক্ষুর তুলনায় পুঞ্জাক্ষির দর্শন সক্ষমতা কম। তবুও পুঞ্জাক্ষির দর্শণ কোণ অত্যন্ত বিস্তৃত। পুঞ্জাক্ষির মাধ্যমে সন্ধিপদীরা দ্রুতগতির বস্তু এবং ক্ষেত্রবিশেষে আলোর পোলারায়ন শনাক্ত করতে সক্ষম।মাছি, মৌমাছি প্রভৃতি উড়ুক্কু পতঙ্গ, ম্যান্টিস, ফড়িং প্রভৃতি শিকারী পতঙ্গের ওমাটিডিয়ায় ফোভিয়া অঞ্চল নামে একটি বিশেষায়িত সুবিন্যস্ত অঞ্চল থাকে, যা এদের সূক্ষ্ম দৃষ্টিশক্তি দান করে। এই সূক্ষ্ম দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন অঞ্চলে চোখ কিছুটা প্রশস্ত এবং চোখের গর্ত অপেক্ষাকৃত বড়। এইরূপ প্রশস্ততার জন্য কোনো একটি উৎস থেকে আগত আলোকরশ্মিকে বেশি পরিমাণ ওমাটিডিয়ায় গ্রহণ করতে পারে এবং এর ফলে উচ্চ রেজোল্যুশনের প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। এ কারণে কিছু প্রাণী অর্থাৎ পতঙ্গে পুঞ্জাক্ষী থাকে।
-রাফিদুল ইসলাম অমি