ডায়াবেটিস, গর্ভাবস্থা, ছত্রাক সংক্রমণ থেকে শুরু করে ভিটামিনের অভাব বা মানসিক চাপও হতে পারে মুখে ঘায়ের গুরুত্বপূর্ণ কারণ। মাড়িতে তীব্র প্রদাহ, মাড়ি ফোলা বা পুঁজ জমা, মাড়ি থেকে দাঁত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এবং সামান্য আঘাতে রক্ত বের হয়ে আসা—এসব উপসর্গ থাকলে তাকে আমরা পেরিওডন্টাল ডিজিজ বা মাড়ির রোগ বলে থাকি।
দাঁতের মাড়িতে ঘা হলে করণীয়
দাঁতের মাড়িতে ঘা হলে তা আমাদের জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নিজের পচ্ছন্দের কেন, কোনো খাবারই তখন মুখে তোলা যায় না। দাঁতে প্রচন্ড পরিমানে ব্যাথা অনুভূত হয়। এই সমস্যাকে অবহেলা করা একদম উচিত না। বিভিন্ন কারণেই এই ঘা হয়ে থাকে। সাধারণত ভিটামিন ‘সি’ এর অভাবে দাঁতের এই সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য দাঁতের অবশ্যই যত্ন নেওয়া টা জরুরি। চলুন একে একে জেনে নিই কীভাবে এই সমস্যা মোকাবিলা করবেন:-
- অবশ্যই প্রচুর পানি পান করতে হবে।
- গরম পানিতে লবণ দিয়ে বারবার কুলকুচি করতে হবে।
- মাড়িতে প্লাক জমলে অবশ্যই তা স্কেলিং করে পরিষ্কার করতে হবে।
- মেডিকেটেড মাউথওয়াশ বা এন্টিসেফটিক জেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
- ধুমপান, জর্দা দিয়ে পান খাওয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে।
- প্রতিদিন দু’বার অন্তত দু’মিনিট ধরে দাঁত ব্রাশ করা প্রয়োজন।
- দাঁতের মাড়িতে আঘাত থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।
- চিনি, চিনির তৈরি খাবার যেমন: মিষ্টি, চকলেট, জুস, পানীয় ইত্যাদি বেশি খাওয়া ঠিক না। এগুলো বর্জন করতে হবে।
- সুষম পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহন করতে হবে। অতিরিক্ত মসলা তেলযুক্ত খাবার বর্জন করতে হবে, কারণ তা শরীর এবং দাঁত কোনটার জন্যই ভালো নয়।
- প্রতি তিন মাস পর পর অবশ্যই দাঁতের হেলথ্ চেকআপ করা উচিত।
- নরম টুথব্রাশ ব্যবহার করতে হবে।
- দুই থেকে তিন মাস অন্তর ব্রাশ পরিবর্তন করতে হবে।
- মুখ অপরিষ্কার, মানসিক অস্থিরতা এড়িয়ে চলতে হবে।
- দাঁতের ভিটামিন জনিত সমস্যা দেখা দিলে অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহন করতে হবে। যেমন: ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন সি ইত্যাদি।