তৃণভোজী না হয়েও প্রায় সময় কুকুর এবং বিড়ালকে ঘাস খেতে দেখা যায়। গবেষকদের দাবি, পেটে কোনো গোলযোগ দেখা দিলেই সবুজ ঘাস খায় কুকুর বা বিড়াল।
তবে বিড়ালের ঘাস খাওয়া নিয়ে নতুন একটি গবেষণায় বের হয়ে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, আদিকালে ঘাস খাওয়ার অভ্যাস ছিল বিড়ালের। জিনগতভাবে সেটি এখনো থেকে গেছে।
পরিপাকতন্ত্রে কোনো ধরনের গোলযোগ দেখা দিলে কুকুর-বিড়াল সবুজ ঘাস খেয়ে থাকে। ঘাস খাওয়ার পর তারা বমি করে থাকে এবং এর মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্রের জটিলতা থেকে মুক্তি পায় তারা, এটিই এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত মত।
বিজ্ঞান বিষয়ক প্রকাশনা সায়েন্স ম্যাগ জানায়, হাজারেরও অধিক বিড়াল নিয়ে নতুন একটি গবেষণায় ভিন্ন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
টানা তিন দিন প্রযুক্তির মাধ্যমে সার্বক্ষণিক এসব বিড়ালের গতিবিধির নজর রেখে জানা যায়, ঘাস খাওয়া তাদের একটি সাধারণ খাদ্যাভ্যাস।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঘাস খাওয়ার পর সব বিড়াল বমি করে না। তার মানে পরিপাকতন্ত্রে তাদের কোনো ধরনের ঝামেলা না থাকা সত্ত্বেও ঘাস খেয়ে থাকে তারা। ঘাস খাওয়ার পর মাত্র চার ভাগের এক ভাগ বিড়ালকে বমি করতে দেখা গিয়েছে।
এই সপ্তাহে নরওয়ের ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর অ্যাপ্লাইড ইথোলজির বার্ষিক সম্মেলনে গবেষণাটি উপস্থাপন করা হয়।
গবেষকেদের সিদ্ধান্ত, আদিকালে পূর্বপুরুষের এই খাদ্যাভ্যাস ছিল বিড়ালের। যদিও বিবর্তনের ফলে সেই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ঘটে বিড়াল প্রজাতিতে। এর পরেও সেটি প্রাণীটির জিনে থেকে যায়।
তথ্যসূত্রঃ দেশ রুপান্তর