পা জ্বালাপোড়া করা বা বার্নিং ফিট সিন্ড্রোম প্রচলিত একটি রোগ। পুরুষের তুলনায় মেয়েরা এ রোগের শিকার বেশি হয়ে থাকেন। এতে গোড়ালি ছাড়াও পায়ের উপরিভাগসহ সম্পূর্ণ পায়ে জ্বালাপোড়া করতে পারে। এমনকি ব্যথাও হতে পারে।
এ ছাড়া এ ক্ষেত্রে অনেক সময় পায়ের রং পরিবর্তন হয়, অতিরিক্ত ঘাম হয় এবং পা ফুলে যায়। মাঝে মাঝে অস্বাভাবিক অনুভূতি ও অবশভাব হয়। তবে চাপ প্রয়োগ করলে কোনো ব্যথা হয় না। সাধারণত রাতের দিকে জ্বালাপোড়া বেড়ে যায়।
কারণ:--
*ভিটামিন বি-এর উপাদান যেমন থায়ামিন (বি-১), পাইরোডোক্রিন (বি-৬), সায়ানোকোবালামিন (বি-১২), নিকোটানিক এসিড ও রাউবোফ্ল্যাভিনের অভাবে পা জ্বালা এবং ব্যথা করে।
*কিডনি ফেইলুর ( হেমোডায়ালাইসিস রোগী) হলেও অনেক সময় এই সমস্যা দেখা দেয়।
*পরিবর্তিত বিপাকীয় ও হরমোনের সমস্যা (ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরোডিসম) কারণে এই সমস্যা হতে পারে।
* যকৃতের (লিভার) ফাংশন খারাপ হলে সমস্যা হতে পারে।
* অনেক সময় কেমোথেরাপি নেওয়ার ক্ষেত্রে পা জ্বালাপোড়া হতে পারে।
* দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত মদ্যপান করলে পা জ্বালাপোড়া করে।
* ত্রুটিপূর্ণ জুতা পরলে।
* অ্যালার্জিজনিত কাপড় ও মোজা ব্যবহার করা।
* বংশানুক্রমিক অসংগত স্নায়ুপদ্ধতির কারণেও অনেক সময় পায়ে জ্বালাপোড়া হয়।
* পায়ের স্নায়ু আহত হলে, অবরুদ্ধ (ইনট্রাপমেন্ট) ও সংকোচন (কমপ্রেশন) হলেও এই সমস্যা হতে পারে।
*এ ছাড়া মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরও এমন হতে পারে।