কেন মানুষ তোতলায়, শরীরের কোন মেকানিজম এজন্য দায়ী, তা নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে৷ কারণ বের করার জন্য ১৫ বছর ধরে একটি পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ আর তা হলো ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং বা এমআরআই৷ এই পদ্ধতিতে মস্তিষ্কের ক্রিয়াকর্মের ছবি উঠে আসে৷
এতে দেখা যায়, তোতলাদের মস্তিষ্কের ডান অংশের সামনের দিকে অসংগতি থাকে৷ যে দিকটির দায়িত্বে রয়েছে কথা৷
নিওরোলজিস্ট ডা. মার্টিন সমারও একজন ভুক্তভোগী৷ তিনি জানান, ‘‘এটি সম্ভবত নিয়ন্ত্রণের সমস্যা৷ কথা বলতে গেলে যে সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ প্রয়োজন, যেমন জিব, তালু, গলার পেশি ইত্যাদি ঠিকমতো বশে থাকে না তোতলাদের৷''
কথা বলার সময় কারো কারো উচ্চারণে সমস্যা অনেকেরই হয়।এমনিতে হয়তো ঠিকই আছে তবে দ্রুত কথা বলতে গেলে আটকে যান কেউ কেউ। কারো আবার নির্দিষ্ট কোন কোন শব্দ উচ্চরণে সমস্যা হয়। এটি খুব জটিল কোনো সমস্যা নয়। একটু সচেতন হলেই এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন কিছু ব্যায়ামের। ব্যায়ামগুলো মুখের। কীভাবে করবেন? চলুন জেনে নেয়া যাক-জিহ্বার ব্যায়াম:
১. একটি পরিষ্কার কাঠপেন্সিল মুখে নিন। দুই পাটির দাঁত দিয়ে সমান্তরালভাবে কামড়ে ধরে পড়া শুরু করুন, যতক্ষণ আপনার ভালো লাগে।
২. জিহ্বাকে সামনের দিকে টান টান করবেন, যতটা পারা যায়।
৩. ভেতরের দিকে টেনে নিয়ে যান, যতটা সম্ভব।
৪. মুখ হা করে জিহ্বাকে টান টান করে চারিদিকে ঘুরাতে থাকুন। প্রথমে ঘড়ির কাটার দিকে কিছুক্ষণ। পরে ঘড়ির কাটার বিপরীতে কিছুক্ষণ।
৫. মুখ বন্ধ করে চারিদিকে জিহ্বাকে ঘুরাতে থাকুন। প্রথমে ঘড়ির কাটার দিকে কিছুক্ষণ। পরে ঘড়ির কাটার বিপরীতে কিছুক্ষণ।
৬. জিহ্বাকে চুইংগাম-এর মত চিবোতে থাকুন। ডানে বায়ে ঘুড়িয়ে। যতক্ষণ ভাললাগে।
৭. জিহ্বাকে মুখের বাইরে তড়িৎ গতিতে ছুড়ে মারুন। এভাবে করতে থাকবেন কিছুক্ষণ।
৮. মুখ হা করুন, যত বড় করা যায়।
৯. মুখ গোল করে ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরান। এভাবে প্রতিদিন কয়েকবার করে করবেন।
- রতন কুমার