রোগা মানুষ মাত্রেই anorexia তে ভোগেন না আর যদিও না ভুগে থাকেন, তিনি তা জানেন না মনে করাটা একটা ঐতিহাসিক ভুল। হ্যাঁ, অতিরিক্ত মোটা হওয়ার মত অতিরিক্ত রোগা হওয়াটাও একটা বাস্তব সমস্যা, আর রোগা মানুষরা তা বোঝেন না ভাবাটা আরো। আমাদের সমাজে মোটা মানুষকে তাঁর চেহারা নিয়ে আঘাত করে কোনো কথা বললে, তা নিয়ে অনেকেই প্রতিবাদী হয়ে থাকেন, কিন্তু রোগা মানুষকে? কঙ্কাল, বাঁশের কঞ্চি, ওকে বললে ওর গায়ে লাগবে কেন?
শুনুন বলি, রোজ রোগা মানুষদের -
- খেতে পাও না? খাও না কিছু?
- অসুস্থ? হজমের অসুখ আছে?
- কি রে, বাতাস দিচ্ছে, উড়ে যাবি তো!
- লেখাপড়া করছ কি করে?
- বেঁচে আছো কি করে?
- এ কি, এত রোগা কেন তুমি?
- তোমাকে দেখলেই ভয় করে ( ঠিক যেটা আপনি লিখেছেন)।
- কঙ্কাল, বাঁশ কঞ্চি, হাড়, শুঁটকি
এইসব শুনতে হয়। Aneroxia আক্রান্ত হলে, বা genetically রোগা হলে সে কিন্তু কিচ্ছু করতে পারে না, বরং এই ক্রমাগত হয়ে যাওয়া bodyshaming তাকে অবসাদের দিকে ঠেলে দেয়। সে যখন যেখানেই যায় সবাই বলে, "মোটা হও একটু অন্তত, তোমাকে দেখতে বিশ্রী লাগছে"। তার পর একটা সময়ের পর তারা বাইরে বেরোতেই ভয় পায়। ওজন বাড়ানো কিন্তু মোটেও সোজা কাজ নয়!
Bodyshaming জিনিসটা এখন সমাজে খুব জনপ্রিয়, মোটাকে বলো 'ঠিক' হতে, পাতলাকে বলো 'ঠিক' হতে, আর ক্রমাগত অপমান করে যাও। আবার যেহেতু media দেখায় রোগা মানুষরা খুব সুখে আছেন, তাঁদের যা ইচ্ছে বলা যায়! হতেই পারে, কোনো একজন রোগা, aneroxia আক্রান্ত মানুষ তাঁর চেহারা নিয়ে দুঃখিত নন, কিন্তু তাই বলে তাঁদের কষ্ট দেওয়াটা কি খুব ঠিক? লড়াই যেখানে bodyshaming এর এবং প্রচলিত সৌন্দর্যের standard এর বিরুদ্ধে করা দরকার, আমরা সেখানেও কি victim- blaming করছি না?
সৌমন্তী সিনহাবাবু