আমাদের দেশে আসামিদের সাধারণত ২ ধরনের দন্ড দেওয়া হয়, সশ্রম কারাদণ্ড ও বিনাশ্রম কারাদণ্ড। যাদের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়, তাদেরকে দিয়ে জেলের বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়, যেমন: রাঁধুনী, সুইপার,ধোপাসহ জেলের মধ্যকার বিভিন্ন আনুসাঙ্গিক কাজ। এইসব আসামিদের শাস্তি শুধু কারাভোগ করা না, জেলের বিভিন্ন কাজ করাও এদের জন্য এক ধরনের শাস্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।
জেল হচ্ছে সংশোধনাগার, যেখানে শান্তির মাধ্যমে যেন একজন আসামি তার করা অপরাধ থেকে শিক্ষা নিয়ে, পরবর্তী জীবনে যেন এই ভুল না করে। এখন যদি জেলের আসামিদের নিয়মিত খাবার না দেয়, তাহলে তো তাদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়ার দরকার পরতো না, সবাই না খেয়েই মরতো!!
আবার,
যাদের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়, তাদের শাস্তি শুধু কারাভোগ করা। তবে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামিদের তুলনায় সশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামিদের খাবারের পরিমাণ বেশি দেওয়া হয়।
এবার আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাক,,
বাংলাদেশে অনেক ভিক্ষুক রয়েছে, এদের মধ্যে কেউ কেউ সত্যি অসহায়। এদের মধ্যে বেশি ভাগ হয়তো বয়স্ক বা প্রতিবন্ধী। আর এদের জন্য সরকার প্রতি মাসে বয়ষ্কভাতা এবং প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যব্যবস্থা করেছে। তবে অনেকেই এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, আর এটা সরকারের জন্য এক প্রকার ব্যর্থতা বলা যায়। আর তা ছাড়া বাংলাদেশের সকল ভিক্ষুক চিহ্নিত করে সকলের জন্য নিয়মিত খাবারের ব্যবস্থা করা একপ্রকার অসম্ভবই বলা চলে।
আবার, অনেক ভিক্ষুক আছে যাদের কোন শারীরিক সমস্যা নেই তবুও তারা পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জনের থেকে ভিক্ষা করে অর্থ উপার্জনকে সহজ কাজ মনে করে।
আমার পক্ষে ভিক্ষুক আর আসামিদের তুলনা করে যতটুকু উত্তর দেওয়া সম্ভব আমি দিয়েছে, ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।