খাবারে হঠাৎ করে অরুচি দেখা দিলে সেটা নিয়ে হেলা-ফেলা কখনই করা উচিত নয়। কারণ এই অরুচিই আপনাকে কোন না কোন জটিল রোগের সংকেত দিতে পারে। অনেকেই হয়ত খাবারে অরুচি ব্যাপারটাকে ছোট-খাট হিসেবে দেখেন, ভাবেন সাময়িক সমস্যা। ঠিক হয়ে যাবে। তবে এমন ভাবাটা উচিত নয়। অনেক কারণেই খাবারে অরুচি আসতে পারে।
পেটে গ্যাস, লিভারের সমস্যা, ফাঙ্গাল ইনফেকশন, ভিটামিনের অভাব অথবা মানসিক সমস্যা, এসব হঠাৎ অরুচি বা ক্ষুধা মন্দার কারণ হতে পারে। পেটে গ্যাস হলে তলপেটে ব্যথা হয় এবং খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। এটাকে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রম বলে ধরে নেয়া যায়।
অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকলে গ্যাস বা অম্বলের প্রকোপটা বেড়ে যায়। তাই, বেশিক্ষণ পেট খালি রাখা ঠিক নয়। প্রতি তিন-চার ঘণ্টা পরপর কিছু না কিছু খেতেই হবে।
লিভারের সমস্যা হলে হঠাৎ করে ক্ষুধা কমে যাওয়ার পাশাপাশি ক্লান্তি, মাথা ঘোরা এবং ডায়রিয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে। এমন লক্ষণ দেখা গেলে বুঝতে হবে লিভারে কোনো সমস্যা অথবা লিভার রোগাক্রান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
ফাঙ্গাল ইনফেকশন হলেও ক্ষিদে কমে যায়। যেমন, মুখে সংক্রমণ হলে মুখে অরুচি দেখা দেয়। দেহে আয়রন এবং ভিটামিন বি১২-এর মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে হ্রাস পেলেও ক্ষুধা কমে যায়। এ ধরনের সমস্যায়ও শিগগিরই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এ ছাড়া দেহে ভিটামিনের ঘাটতি থাকলে ক্লান্তি, কনস্টিপেশন, দাঁত থেকে রক্ত পড়া প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয়। মানসিকভাবে অস্থির হয়ে পড়লেও শরীরে এক ধরনের পরিবর্তন আসে। সেই সাথে কমে যায় ক্ষুধাও। এক্ষেত্রে মনকে শান্ত রাখতে হবে।
অবসাদের করণে এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে খাবারে অরুচি হতে পারে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, স্টমাক ক্যান্সার, কোলোন ক্যান্সার, প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার এবং ওভারিয়ান ক্যান্সারে মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে খাওয়ার ইচ্ছেটাই থাকে না আর। এ সব ক্ষেত্রে শিগগিরই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।
উৎস:সময় নিউস।