ভাবনা-চিন্তার স্বচ্ছতা
মিউজিকের ছন্দ-তাল চিন্তা-ভাবনা গুছিয়ে নিতে সাহায্য করে। কোনো কিছুতে মনোনিবেশ করতেও ভালো কাজ করে ভালো মিউজিক।
গবেষকদের মতে, আমাদের মস্তিষ্ক ছন্দে চলে। গানের ছন্দ, বিশেষ করে যেই গান কোনো স্মৃতি জাগিয়ে তোলে তা পড়াশোনা করতেও সাহায্য করে।
জ্ঞান
কাজ করার আগে বা সমস্যা সমাধানের আগে মোজার্ট শুনলে সেই কাজ আরও নিপুণভাবে করা যায়। সূক্ষ্ণভাবে ভাবার ক্ষমতা বাড়ে।
মনসংযোগ
মস্তিষ্কে নিউরন সিন্যাপসিসের মাধ্যমে যুক্ত থাকে। তথ্য মস্তিষ্কে ইলেকট্রিক্যাল ইমপালসে পরিণত হয়ে সিন্যাপসিসের মাধ্যমে বাহিত হয়। তথ্যের উপর আমরা যত মনোযোগ দিই, ইমপালস তত শক্তিশালী হয়। নিউরোনের মধ্যে যোগাযোগ তত বেশি হয়। গান শোনার সময় মস্তিষ্কে আলফা ও থিটা তরঙ্গ উৎপন্ন হয়। যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। থিটা তরঙ্গ মস্তিষ্ককে শান্ত ও রিল্যাক্স করে এবং মনসংযোগ করতে সাহায্য করে।
দীর্ঘকালীন স্মৃতি
মিউজিক দীর্ঘকালীন স্মৃতি বাড়াতে সাহায্য করে। সিন্যাপসিস যত শক্তিশালী হবে স্মৃতিশক্তি তত বাড়বে। স্ট্রেস বাড়লে তা স্মৃতিশক্তির উপর প্রভাব ফেলে। এর ফলে পড়াশোনা, কাজ, যে কোনো বিষয়ের স্ট্রেস সিন্যাপসিসকে দুর্বল করে দেয়। স্ট্রেস শরীরের ফিল গুড হরমোন ডোপেমাইন ও সিরোটোনিনের মাত্রাও কমিয়ে দেয়। ফলে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যায়। মিউজিক শুনলে ফিল গুড হরমোন বাড়ে যা স্মৃতিশক্তিকে উন্নত করে। সিন্যাপসিস শক্তিশালী করে দীর্ঘকালীন স্মৃতিশক্তি ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়ায়।
কর্টিসল
স্ট্রেস শুধু দীর্ঘকালীন স্মৃতিশক্তির উপর প্রভাব ফেলে না, নতুন স্মৃতি ধরে রাখতেও বাধা দেয়। মস্তিষ্কে কর্টিসল (স্ট্রেস হরমোন) উৎপন্ন করে কার্যকারিতায় বাধা দেয়। মিউজিক কর্টিসলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে মাথা যেমন হালকা হয়, তেমনই তথ্য বোঝার ও বিশ্লেষণ করার ক্ষমতাও বাড়ে।
Source : Ekhushe TV