দাউদ একটি ছত্রাকজনিত রোগ। এটি প্রচণ্ড চুলকায়। সময় মতো চিকিৎসা না নিলে এটি ছড়িয়ে জটিল অবস্থা তৈরি করতে পারে। এcছাড়া আরেকটি ত্বকের ছত্রাকজনিত রোগ ক্যানডিডাই। সাধারণত বেশি পানি ঘাটলে এই সমস্যা হয়।
এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৪১৩তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের চর্মরোগ বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান এবং বর্তমানে মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসের একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আহম্মেদ আলী।
প্রশ্ন : দাউদের চিকিৎসার মধ্যে কী থাকে?
উত্তর : দাউদের মধ্যে যেটি বলছিলাম, এর মধ্যে কোনো সাবান লাগানো যাবে না। সাধারণ সাবান শ্যাম্পু দেওয়া যাবে না। ছত্রাকবিরোধী সাবান শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। আর কাপড় চোপরের ক্ষেত্রে যত আরামদায়ক হয়, ততো এই রোগটি কম হবে। ঢিলেঢাল হতে হবে এবং সুতির হতে হবে।
প্রশ্ন : ক্যানডিডিয়াসের ক্ষেত্রে কী একই পরামর্শ থাকে?
উত্তর : পরামর্শ একই তবে ওষুধের একটু পার্থক্য আছে। যদি বেশি জায়গায় দাউদ হয়ে থাকে, আকারে বড় হয়ে থাকে, তবে খাবার ওষুধ ও লাগানোর ওষুধ দুটো একটু দীর্ঘস্থায়ী করতে হবে।
আবার ক্যানডিডাও তাই। যদি বেশি জায়গায় বড় হয়ে থাকে, তবে এরকমভাবে চিকিৎসা করতে হয়। অনেক সময় এতে আবার ব্যাকটরিয়াল ইনফেকশনও হয়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে প্রথমে একটি অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে একে ঠিক করে ছত্রাকবিরোধী বা ফাঙ্গাসের ওষুধ দিতে হয়।
আরেকটি কথা। নখেও কিন্তু অনেক সময় ফাঙ্গাস হয়ে থাকে। যারা পানি বেশি ব্যবহার করে তাদের হয়ে থাকে। এটি হলে কিন্তু খুব লম্বা ওষুধ দিতে হয়। ছয় মাস, এক বছর ওষুধ খেতে হয়, লাগাতে হয়। তবে যাই হোক না কেন একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এই জাতীয় সমস্যাগুলোতে অপচিকিৎসকের কাছে গিয়ে আরো খারাপ করে নিয়ে আসতে পারে। শুরুতেই যদি চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করে তাহলে খুব অল্প খরচে, অল্প দিনে ভালো হয়ে যায়। দেরি করলে খরচ বেড়ে যায়, সময় বেড়ে যায়। আর কিছু উপদেশ জেনে আসতে হয়।
উপদেশের ভিতরে কাপড়ের বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সুতি এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে। পানি কম ধরতে হবে। শরীরে যেন আলো বাতাস লাগে এভাবে চলতে হবে। ঠান্ডায় থাকতে হবে। তাহলেই এগুলো কম হবে।
আর হয়েই যদি যায় সেক্ষেত্রে ওষুধ পূর্ণ মাত্রায় খেতে হবে। অনেক সময় একটু কমে গেলে ওষুধ বন্ধ করে দেন, এতে কিন্তু ফাঙ্গাসটি চামড়ায় থেকে যায়। আবার শুরু হয়। এটি আরেকটি সমস্যা। এটি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। সাধারণ সাবান শ্যাম্পু দেওয়া যাবে না। ছত্রাকবিরোধী সাবান, শ্যাম্পুই ব্যবহার করা উচিত।
©ntv