প্রতিটি মুরগির ডিম্বাশয়ের ভিতর হাজার হাজার ডিম আছে। এইসব ডিমকে একত্রে বলা হয় ova এবং একটি ডিমকে বলে ovum। যখন মুরগির ডিম দেওয়ার বয়স হয় (জন্মের প্রায় ৫ মাস পর) তখন মুরগির ডিম্বাশয়ে থাকা এই ova গুলোর মাঝে থেকে কিছু ova পরিপক্ক হওয়া শুরু হয় যাকে আমরা মুরগির কুসুম হিসেবে চিনি। প্রতিটি ওভাম এর নিজস্ব ফলিকল থাকে। যখন এই কুসুম পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য তৈরি হয় তখন এটি ফলিকল থেকে বের হয়ে যায় এবং oviduct এ পৌঁছায়। এখানেই মুরগির ডিম মোরগ দিয়ে ফার্টিলাইজ হয়। তবে মোরগ না থাকলে ফার্টিলাইজ ছাড়াই ডিম হতে পারে।
আমরা প্রায় প্রতিটি ডিমের কুসুমেই একটি সাদা অংশ দেখেছি, এই সাদা অংশটি হলো মাতৃকোষ বা blastodisc। এটু মূলত মোরগের স্পার্ম দিয়ে ফার্টিলাইজ হয়। তারপর কোষ বিভাজন হয় এবং ভ্রুণের বিকাশের মাধ্যমে blastodisc থেকে blastoderm হয়। এরপর মুরগির কুসুম (ফার্টিলাইজ হলে blastodisc, ফার্টিলাইজ না হলে blastoderm) ওভিডাক্ট এর magnum এবং isthmus অংশ অতিক্রম করে। এই অংশে মুরগির কুসুমের চারপাশে অ্যালবুমিন বা সাদা অংশ তৈরি হয়। পাশাপাশি মুরগির খোলসের ভিতর যে পাতলা সাদা আবরণ থাকে সেটিও এই স্তরে তৈরি হয়। এটি মুরগির কুসুম ও সাদা অংশকে ধরে রাখে। মুরগির ডিমের খোলস হয় ইউটেরাসের খোলস নালী বা shell gland এ। খোলস তৈরি হতে প্রায় ২০ ঘন্টা লাগে। তারপর মুরগি তার cloaca দিয়ে ডিম পাড়ে। এই ডিম থেকে বাচ্চা হয়।
©Nishat Tasnim (Science Bee Family)