ভিটামিন ডি ডিফিসিয়েন্সি এখন গ্লোবাল পাবলিক হেলথ প্রবলেম। আমরা যাঁরা শহরে বাস করি, তাঁদের শরীরে ভিটামিন ডি-র যতটুকু চাহিদা, ততটুকু পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য যতটুকু সূর্যের আলো দরকার, ততটুকু আমরা শরীরে নিচ্ছি না এবং পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি-যুক্ত খাবার গ্রহণ করছি না। সে কারণে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা দিচ্ছে ছোট-বড় অনেকেরই।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক এক আয়োজনে এ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান। তিনি আরও বলেন, ভিটামিন ডি-কে বেসিক্যালি সানলাইট ভিটামিনস হিসেবে রেফার করা হয়ে থাকে। কেননা, এই ভিটামিন ডি আমাদের শরীরে তৈরি হচ্ছে, যখন আমরা সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসছি। ভিটামিন ডি-র অভাবে অনেক রোগ হয়ে থাকে।
পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান বলেন, আমরা অনেকেই জানি না, ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য দিনের আলোর কোন সময়টুকু উপযুক্ত। কিছু গবেষণা থেকে আমরা জানতে পেরেছি, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত উপযুক্ত সময় এবং সেটা অবশ্যই ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত হতে হবে। সুতরাং, আপনারা বুঝতেই পারছেন ভিটামিন ডি-র মেইন সোর্স হচ্ছে এই সানলাইট।
পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহানের পরামর্শ, কিছু বিশেষ খাবার আছে, যেগুলো ভিটামিন ডি-র জন্য উপযুক্ত। আমাদের খাদ্যতালিকায় কুসুমসহ ডিম থাকতে হবে; বিভিন্ন ডেইরি প্রোডাক্টস, বিভিন্ন মাছ হতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে সামুদ্রিক মাছ যেন থাকে। কেননা, সামুদ্রিক মাছ থেকে আমরা প্রচুর ভিটামিন ডি পেয়ে থাকি। এ ছাড়া মাশরুম হতে পারে, অরেঞ্জ জুস হতে পারে।
অনেকে মনে করে, ভিটামিন ডি ডিফিসিয়েন্সি প্রতিরোধ শুধু সানলাইট এবং ভিটামিন ডি-যুক্ত খাবার গ্রহণ করলেই হয়, আসলে ধারণাটা সঠিক নয়। কেননা, ভিটামিন ডি ডিফিসিয়েন্সি দূর করার জন্য ভিটামিন ডি-যুক্ত খাবার গ্রহণের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম-জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। ক্যালসিয়ামের যদি ডিফিসিয়েন্সি থাকে, এই ভিটামিন ডি-র কোনো ডাইজেশন ভালোমতো হয় না। তাই এর ডিফিসিয়েন্সি দূর করার জন্য ভিটামিন ডি-যুক্ত খাবার এবং সমান ভাবে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খেতে হবে। বিভিন্ন ধরনের খাবার থেকে আমরা ক্যালসিয়াম পেতে পারি। যেমন—স্পিনাচ, ওটস মিল্ক হতে পারে, ওকরা হতে পারে, ছোট কাঁটাযুক্ত মাছ; ডেইরি প্রোডাক্টস থেকেও আমরা ক্যালসিয়াম পেতে পারি। চেষ্টা করতে হবে সপ্তাহে যেন অন্তত একদিন মাশরুমের স্যুপ থাকে। তাহলে ভিটামিন ডি ডিফিসিয়েন্সি প্রতিরোধ করতে পারব।
ক্রেডিট: এনটিভি