রোদ থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন বেশ কার্যকরী। এই কথা আমরা সবাই জানি এবং মেনেও থাকি। কিন্তু এই সানস্ক্রিন আপনার অজান্তেই সূর্যের আলোর থেকেও ত্বকে অনেক বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। যা ধীরে ধীরে ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে এবং এর ফলে ত্বক হয়ে পড়ে রুক্ষ ও প্রাণহীন। বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটে ত্বকে সানস্ক্রিনের ক্ষতিকর প্রভাবের কয়েকটি দিক তুলে ধরা হয়েছে। যা জেনে রাখা আপনার জন্য জরুরি-
চোখে অ্যালার্জি হতে পারে
মুখে সানস্ক্রিন ব্যবহারের কারণে চোখে অ্যালার্জি হতে পারে। আর এ ধরনের অ্যালার্জি হলে কোনোভাবেই হেলাফেলা করা যাবে না। কারণ এটি কোনো স্বাভাবিক অ্যালার্জি না। এতে চোখের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এমনকি আপনি অন্ধও হয়ে যেতে পারেন। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহারে সাবধান থাকুন।
ত্বকে অ্যালার্জি সমস্যা
প্রত্যেকটি সানস্ক্রিন লোশন বা ক্রিম ক্ষতিকর ক্যামিকেল দিয়ে তৈরি করা হয়। যা ত্বকে অ্যালার্জি, চুলকানি এবং র‍্যাশের প্রধাণ কারণ। যেসব সানস্ক্রিনের বোতলে ‘হাইপোঅ্যালার্জিনিক’ লেখা থাকে সেসব সানস্ক্রিন ত্বকের জন্য ভালো। ত্বক বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখেন যে বেশির ভাগ সানস্ক্রিনই ‘জিংক অক্সাইড’ দিয়ে তৈরি করা হয়। যা ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে
বেশির ভাগ সানস্ক্রিনই ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে। সানস্ক্রিন ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক যদি শুষ্ক ও টানটান হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
ব্রন হতে পারে
যাদের ব্রনের সমস্যা রয়েছে তাদের সানস্ক্রিন ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এতে ব্রন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রে অয়েল ফ্রি সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। অথবা যে সানস্ক্রিন আপনার ত্বকের জন্য প্রযোজ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সেই প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন।
র‍্যাশ হতে পারে
স্পর্শকাতর ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহারের ফলে র‍্যাশ হতে পারে। এর ফলে ত্বক অনেক বেশি রুক্ষ ও মলিন হয়ে যায়। তাই এ ধরনের ত্বকের অধিকারিণীনিরা সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।
ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা
সানস্ক্রিন ব্যবহারের ফলে রক্তে অ্যাস্ট্রোজেনের পরিমাণ বেড়ে যায়। যা ব্রেস্ট ক্যানসারের অন্যতম কারণ। তাই প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। যার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না।