Nishat Tasnim-
Pica Disorder : অখাদ্য খাওয়া যখন অভ্যাস!
পাইকা খাদ্যগ্রহণ সংক্রান্ত একটি জটিল রোগ। পাইকা ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিরা পুষ্টিগুনহীন খাবার গ্রহণে আসক্ত থাকেন। যেমন: মাটি, চক, সাবান, টুথপেস্ট, ডিটারজেন্ট, মল, রক্ত, বমি, কাঁচ, দেয়ালের প্লাস্টার, কাগজ, আঠা, চুল, বরফ ইত্যাদি।
মানসিক রোগ, যেমন: অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজঅর্ডার, অটিজম, স্কিজোফ্রেনিয়া আক্রান্তদের মধ্যে পাইকার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তাছাড়া, এক থেকে ছয় বছর বয়সী ১০%-৩০% শিশুর মধ্যে পাইকা রোগ দেখা যায়। প্রাপ্তবয়স্ক দের মধ্যে গর্ভবতী নারীদের মধ্যে এমন অখাদ্য খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
অখাদ্য গ্রহনের ধরনের উপর নির্ভর করে পাইকা কে ভিন্ন ভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়। যেমনঃ-
▪ কোপ্রোফিয়া: মল খাওয়া
▪ এমেটোফেজিয়া: বমি খাওয়া
▪ জিওফেজিয়া: কাদা, মাটি, চক খাওয়া
▪ কনিওফেজিয়া: ধুলাবালি খাওয়া
▪ প্যাগোফেজিয়া: বরফ খাওয়া
▪ ট্রাইকোফেজিয়া: চুল, পশম খাওয়া
▪ হায়ালোফেজিয়া: কাঁচের জিনিস খাওয়া
▪ জাইলোফেজিয়া: কাঠ খাওয়া
▪ ইউরোফেজিয়া: প্রস্রাব খাওয়া
▪ হেমাটোফেজিয়া: রক্ত খাওয়া
▪ সাইলোফেজিয়া: কাঠ, কাগজ খাওয়া
▪ লিথোফেজিয়া: পাথর খাওয়া
▪ অ্যাকুফেজিয়া: তীক্ষ্ণ বস্তু খাওয়া
▪ কটোপাইরিওফেজিয়া: দিয়াশলাইয়ের পোড়া অংশ খাওয়া। science bee
কিছু শারীরিক ও মানসিক সমস্যার কারণে পাইকা হতে পারে। যেমন: অনেকেই পুষ্টিহীন জিনিসে স্বাদ পান বা পুষ্টিহীন বস্তুর ঘ্রাণ তাদের ভালো লাগে তাই খেয়ে ফেলেন। আবার শরীরে আয়রন বা জিংক এর অভাবেও এই রোগ হয়। যারা মাটি, কাদা, বরফ খায় তাদের সাধারণত হিমোগ্লোবিন এর অভাব থাকে। তাছাড়া দারিদ্র্যতা, ভয়, মানসিক চাপ, অবহেলার শিকার হলে অনেক সময় শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হয়।
কি কারণে এই রোগ হয়েছে সেটি নির্ণয় করে সাধারণত চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে এই রোগের চিকিৎসার জন্য কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি, সার্পোটিভ কাউন্সেলিং, বিহেবিভার মডিফিকেশন ট্রেনিং সবচেয়ে কার্যকর।
© Nishat Tasnim (Science Bee Family)