শীতে হাত পা এর চামড়া ফেঁটে যায় কি কারণে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+10 টি ভোট
2,045 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (123,400 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (123,400 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর

Nishat Tasnim-

শীতের সময় ত্বকের অন্যান্য অংশ থেকে প্রতিনিয়ত সামান্য হলেও তেল গ্রন্থী থেকে তেল নির্গত হয় যা ত্বককে কিছুটা আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে কিন্তু, পায়ের ক্ষেত্রে আমাদের সেরকম তেল গ্রন্থী নেই যা পাকে আদ্রতা বজায় রাখবে এই কারণে, শীতের সময় সবচেয়ে বেশি "সাফার" করে আমাদের পা ! আর এইটা অসুখ কিনা জিগেশ করলে উত্তর খুব সাধারণ মোটেও না সবারই কম বেশি শীতে এরকম পা ফাটে তবে, একটা অসুখের কথা বলতে পারব যার ফলে শুধু শীতের সময় এরকম পা ফাটা কিংবা চামড়া উঠে যাওয়া প্রবল থাকে এর নাম হলো "ইকথায়সিস" আর এইটা বংশগত প্রতি এক হাজার জনের মধ্যে একজনের হওয়া অস্বাভাবিক কিছুনা ! আর কিভাবে হাত, পায়ের চামড়া ঠিক রাখা যায় ? খুব সহজ আদ্রতা বজায় রাখতে হবে এর জন্য গ্লিসারিন কিংবা ভ্যাসেলিন লাগিয়ে রাখলে অনেকটা রোধ করা যায় ! আমি যা বললাম তা খুব সাধারণ তবে, যদি অস্বাভাবিক কিছু মনে হয় তাহলে, সবচেয়ে ভালো একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে আলাপ করে নেয়া !

0 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)
শীতের প্রকৃতি শুষ্ক। হিমেল হাওয়ার এমন দিনে কম-বেশি সবারই ত্বক ফাটে। সাধারণত শীত এলেই আমাদের ত্বক ফেটে যায়। মরা চামড়াগুলো ধারালো সূচের মতো হয়ে যায়। ত্বক হয়ে ওঠে রুক্ষ্ম, খড়খড়ে। যা অন্যান্য ঋতুতে হয় না। তাই খুব সহজেই আমাদের ত্বকে, ঠোঁটে, পায়ে ফাটা দাগ দেখা যায়। আপনি এজন্য ঠিকই রোজ নিয়মমতো গোসলের সময়ে তেল ও রাতে শোয়ার সময়ে ক্রিম মাখছেন। বারবার লিপজেল ব্যবহার করছেন। তারপরও ত্বক ফেটে যাচ্ছে। ঠোঁটে শুষ্কতা তৈরি হচ্ছে। ঠোঁট ফাটা দেখা যাচ্ছে।

গবেষকরা জানান, আমাদের দেশে সাধারণত শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়। অল্প আর্দ্রতা, খুব সূর্যের আলো ও ঠান্ডা বাতাস এর কারণ। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরেও কিছু পরিবর্তন আসে। যেমন- শীতে অতিরিক্ত ধুলোবালির কারণে শরীরে রুক্ষ্মতা তৈরি হয়। ত্বকে অতিরিক্ত ময়লা জমে। ত্বক খসখসে হয়ে যায়। শীতের শুষ্ক আবহাওয়াই ত্বক ফাটার অন্যতম কারণ।

বিজ্ঞানীদের মতে, শীতকালে সূর্য হেলানো ভাবে কিরণ দিলেও তা সরাসরি বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে। শীতকালে বায়ুতে তেমন কোনো জলীয় বাষ্প থাকে না। কোনো জলীয়বাষ্প না থাকায় সেই শুষ্ক বায়ুতে চারপাশ থেকে পানি জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়। এ কারণে শীতকাল এলেই পুকুর, নদীর পানি কমতে দেখা যায়। বায়ুর মধ্যে জলীয় বাষ্পের ভারসাম্য রক্ষায় চারদিক থেকে পানির দরকার হয়।

বিজ্ঞানীরা বলেন, মানুষের শরীরে বা উপরের ত্বকের কোষে যে পানি রয়েছে এসময় তা কোষের ছিদ্র দিয়ে বের হয়ে যায়। ফলে শরীর শুষ্ক, রুক্ষ্ম, টানটান হয়ে যায়। একসময় ত্বক এতটাই রুক্ষ্ম হয়ে ওঠে যে, সেই টানটান শুষ্ক ত্বক ক্রমে ফেটে যায়। ঠোঁটের ক্ষেত্রে দেখা যায় ঠোঁট ফেটে তার উপরের পাতলা চামড়া উঠে যায় এবং ঠোঁট যে ফেটেছে তা স্পষ্ট বোঝা যায়। শীতে ত্বক সব সময় শুষ্ক থাকে। যার প্রমাণ শরীরের কোনো অংশে হালকা আঁচড় দিলে ত্বকের পাতলা চামড়া উঠে যেতে থাকে। পায়ের ক্ষেত্রে টানটান ত্বক যখন হাঁটা হয়, তখন শরীরের সমস্ত ভারে পায়ের তলার পিছনের দিকে চাপ পড়ে এবং পায়ের তলার চারদিকের ভারসাম্য রক্ষার জন্য ফাটতে থাকে। তবে সব ঋতুতেই পা ফাটে পেশাগত কারণে। যেমন প্রখর রোদে বেশিক্ষণ থাকা, বাগান, কৃষিকাজ বা নির্মাণকাজ যারা করেন। শীতকালে শুষ্ক ত্বকের জন্যই ফাটা দাগ বেশি দেখা যায়।

এ ছাড়াও যখন টানটান চামড়া বা শরীরের কোনো জায়গা ব্যবহার বা নড়াচড়ার সময় প্রসারিত হয়; তখনো ত্বক ফাটে। জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানোর অভ্যাস, সিগারেট খাওয়া, আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি, হরমোনের সমস্যা, অত্যধিক কফি খাওয়া অথবা ভিটামিন বি টু, ভিটামিন এ ও বি এর অভাব হলে, জিংক ও ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাব হলেও ত্বক ফাটে। এসবের অভাবে শীতে ত্বক ও ঠোঁটের শুষ্কতাকে বাড়িয়ে দেয়। পুষ্টিহীনতা ও শরীরে পানির ঘাটতি, রেটিনয়েড-জাতীয় ওষুধ সেবন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগের কারণেও শীতে বেশি বেশি ত্বক ফাটে। বংশগত বা জিনগত কারণে, বয়স ৪০-এর পর তেল ও ঘাম গ্রন্থির সংখ্যা কমে যাওয়াও ত্বক ফাটার একটি কারণ। এ ছাড়া ক্লোরিনযুক্ত পানিতে অতিরিক্ত সাঁতার কাটলে বা গোসল করলে, বিশেষ করে গরম পানি বা ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করলে, অতিরিক্ত আকাশপথে ভ্রমণ করলে, কিছু চর্মরোগে, কিছু ওষুধ সেবন, এসিতে অতিরিক্ত অবস্থান, থাইরয়েডের সমস্যা, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত সুগন্ধি ব্যবহার ইত্যাদিও ত্বক ফাটার কারণ। ত্বক ফেটে যাওয়া ছাড়াও কালচে হয়ে যাওয়া, অ্যালার্জিসহ দেখা যায় নানা রকম সমস্যা।

কী করবেন? এজন্য প্রয়োজন বাড়তি যত্নের। নয়তো ত্বকে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন সমস্যা। ত্বক ফাটা রোধের জন্য শীত ঋতুতে অনেক ধরনের লোশন, গ্লিসারিন, ভেসলিন, স্নো, তৈল ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। এগুলো সবই তৈল জাতীয়। যা ব্যবহার করলে ত্বক তেল তেল করে। অর্থাৎ ত্বক থেকে পানি বের হতে পারে না। বাতাস ত্বকের উপরে তেলজাতীয় পদার্থের জন্য পানি চুষতে পারে না। এগুলো ত্বকের রুক্ষ্মতা রোধ করে। সুতরাং এসব ব্যবহার করে ত্বক ফাটা রোধ করা যায়। শীতে তাই ভালো মানের লিপস্টিক ও লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে। ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। গোসলে ময়েশ্চারাইজারযুক্ত সাবান ব্যবহার করুন। ময়েশ্চারাইজার লাগানোর আগে ত্বকের মরা কোষ পরিষ্কার করে নিন। ভালো ময়েশ্চারাইজারযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে, তারা ক্রিমের সঙ্গে একটু পানি মিশিয়ে নিতে পারেন।

তবে সবার আগে বদ অভ্যাসগুলোকে ছাড়ার চেষ্টা করুন, যেমন- ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় চা বা কফি কম পান করতে হবে। লবণাক্ত খাবারে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। শীতে অনেকেই ঠান্ডার কথা ভেবে পানি কম পান করে কিন্তু তাতে করে ত্বকে বেশি ফাটল দেখা দেয়। তাই শীতে প্রচুর পানি পানের বিকল্প নেই। এ ছাড়া প্রচুর শাক-সবজি খাবেন। নরম সুতির আরামদায়ক পোশাক পরার চেষ্টা করবেন। জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজাবেন না, ঠোঁটের চামড়া টেনে ওঠাবেন না। অতিরিক্ত ঠান্ডা থেকে মুখকে সুরক্ষিত রাখতে স্কার্ফ ব্যবহার করুন। কুসুম কুসুম গরম পানিতে গোসল করুন। মুখ দিয়ে নয়, শ্বাস নিন নাক দিয়ে। নাক বন্ধ হয়ে গেলে ড্রপ ব্যবহার করুন। এ সময় ১০ শতাংশ ইউরিয়া, ভেসলিন লাগালে হাতের তালু অনেকটা মসৃণ হয়ে আসে। শীতে অনেকের পায়ের তলাও ফেটে যায়। এজন্য ৫ শতাংশ স্যালিসাইলিক অ্যাসিড অয়েন্টমেন্ট অথবা ভেসলিন নিয়মিত মাখতে পারেন। কুসুম গরম পানিতে পরিষ্কার একটি কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে ঠোঁটে হালকা করে তিন-চারবার চাপ দিন। তারপর ভ্যাসলিন বা গ্লিসারিন পাতলা করে লাগিয়ে নিন। -সংগৃহীত

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 448 বার দেখা হয়েছে
+9 টি ভোট
1 উত্তর 6,067 বার দেখা হয়েছে
03 ফেব্রুয়ারি 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Samsun Nahar Priya (47,700 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
1 উত্তর 6,687 বার দেখা হয়েছে
27 ফেব্রুয়ারি 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)

10,772 টি প্রশ্ন

18,455 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

263,102 জন সদস্য

91 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 90 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  2. AntoineWhith

    100 পয়েন্ট

  3. gi8s4com

    100 পয়েন্ট

  4. VernitaChabr

    100 পয়েন্ট

  5. Flynn03H9632

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা #science পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...