Nishat Tasnim-
হরমোনের ভারসাম্যহীনতাই মূলত এর জন্য দায়ী। প্রত্যেক নারী ও পুরুষের শরীরে Testosteron নামক এক ধরনের হরমোন রয়েছে। এই টেসটোসটেরন হরমোনকে ‘পুরুষ হরমোন’ নামে অভিহিত করা হয়। পুরুষের পাশাপাশি মেয়েদের শরীরেও এই টেসটোসটেরন হরমোন সামান্য পরিমাণ থাকে। কিন্তু মেয়েদের শরীরে এই হরমোনের পরিমাণ বেশি থাকলে অথবা হরমোনের পরিমাণ বেড়ে গেলে মেয়েদের শরীরেও পুরুষের মত অধিক লোম গজাতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় মেয়েদের এই শারীরিক সমস্যাটিকে হারসুটিজম (Hirsutism) বলা হয়।
আরও কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে হেয়ার ফলিকলের এন্ড্রোজেন-এর প্রতি সেনসিটিভিটি অন্যতম কারণ। এছাড়া ইনসুলিন রেজিসটেন্স (Insulin resistance) এবং পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (Polycystic Ovarian Syndrome)-এর কারণেও হতে পারে। মানুষের শরীরে অনেক গ্রন্থি থাকলেও এর জন্য মূলত দু’টি গ্রন্থিকেই দায়ী করা হয়। তার একটি হলো অ্যাডরেনাল গ্রন্থি, যা কিডনির উপরিভাগে অবস্থিত। আর একটি হলো নারীর দেহের ডিম্বাশয় বা ওভারি। এই দু’টি গ্রন্থির কোনো রোগের কারণেই সাধারণত এ রকম অতিরিক্ত লোম গজিয়ে থাকে। অ্যাডরেনাল গ্রন্থি এবং ওভারির টিউমার অথবা ক্যান্সার হলে বা অ্যাডরেনাল হাইপারপ্লাসিয়া হলেও অবাঞ্ছিত লোম হতে পারে।
আমাদের ত্বকে যে সমস্যা হয়, তা সাধারণত দেহের ভেতরের বিভিন্ন কারণে প্রকাশ পায়। যাদের হরমোনাল সমস্যা থাকে, বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম থাকে, সেই ক্ষেত্রে অবাঞ্ছিত লোম হয়। এটি বিশেষ করে মুখে হয়ে থাকে। এটি বিব্রতকর তাদের জন্য। আবার অনেক মেয়েদের ক্ষেত্রে পুরুষালি হরমোন বেশি থাকে। সেই ক্ষেত্রে তাদের চুল গজায়। এ সমস্ত পদ্ধতিগত কারণে দেখা যায় তার বিভিন্ন জায়গায় অবাঞ্ছিত লোম গজাচ্ছে। এই লোমগুলো সাধারণত থাকার কথা না।