লোম খাড়া যাওয়ার এই ঘটনাটিকে চলতি ভাষায় বলে গুজবাম্প (goosebumps)। মেডিক্যাল ভাষায় আমরা বলি কিউটিস আনসেরিনা (cutis anserina)।
প্রতিটি রোমকূপের (hair follicle) গোড়ায় একটি ছোট্ট মাংসপেশি জুড়ে আছে, যার নাম অ্যারেকটর পাইলি (arrector pili)। নিম্নশ্রেণীর প্রাণী, যেমন কুকুর বা বেড়াল, যাদের গায়ে লোম আছে, দেখবেন খুব ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় বা ভয় পেলে রোঁয়া ফোলায়। রোঁয়া ফোলালে ওদেরকে আরো বড় দেখায়, শত্রু ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়, এবং ঐ লোমের মধ্যে গরম হাওয়া আটকে ওরা শরীর গরম করে নেয়। ওরা ইচ্ছেমতো এই অ্যারেকটর পেশিটিকে চালাতে পারে, এই পেশিটি কন্ট্রাক্ট করলে লোম খাড়া হয়ে ওঠে। মানুষদের অ্যারেকটর নিজেদের ইচ্ছাধীন না, তবে ঠাণ্ডা লাগলে, বা ফাইট অর ফ্লাইট রেসপন্স চালু হলে (এড্রেনালীন রেসপন্স) নিজের থেকেই এই পেশী কুঁচকে যায়। এটি চালনা করে আমাদের সিম্প্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম। এটিকে বলা হয় ভেসটিজিয়াল রিফ্লেক্স (vestigial reflex), অর্থাৎ এমন রিফ্লেক্স যা নিম্নশ্রেণীর প্রাণীদের কাজে আসে, কিন্তু আমাদের মতো উচ্চস্তরের প্রাণীদের কাজে আসেনা।