উত্তপ্ত বস্তু যে তাপ শোষন করে না তোমায় কে বলেছে।উচ্চতর ক্লাসে তাপবিজ্ঞান যখন পড়বে তখন বুঝতে পারবে।আমি তোমাকে মুল ব্যাখ্যাটাই দিচ্ছি। ১৭৯১ সালের আগে উত্তপ্ত বস্তু থেকে তাপ কিভাবে ছড়ায় এবং শীতল বস্তু থেকেই বা কিভাবে ছড়ায় সেটা নিয়ে মানুষের স্বচ্ছ ধারণা ছিল না। ধারণা করা হত উত্তপ্ত বস্তু থেকে ‘উষ্ণ বিকিরণ’ নির্গত হয়- ফলে তার পাশে গেলে গরম লাগে, ঠান্ডা বস্তু থেকে ‘শীতল বিকিরণ’ নির্গত হয়- তাই তার পাশে গেলে ঠান্ডা লাগে। এ ব্যাপারে প্রথম সঠিক দিকনির্দেশনা দেন বিজ্ঞানী প্রিভোস্ট (Prevost)। ১৭৯১ সনে তিনি বলেন একটা বস্তু গরম বা ঠান্ডা যাই হোক না কেন সেটা তার চারপাশে তাপ বিকিরণ করতে থাকে- সাথে সাথে চারপাশ থেকে আসা বিকিরিত তাপ শোষণও করতে থাকে। যদি বস্তু থেকে যে পরিমাণ তাপ প্রতিমূহুর্তে বের হচ্ছে সেটার পরিমাণ চারপাশ থেকে প্রতিমূহুর্তে যে তাপ সেই বস্তু শোষণ করছে তার চেয়ে বেশি হয় তবে আমরা বুঝি যে বস্তুটি উত্তপ্ত। আর চারপাশ থেকে প্রতিমূহুর্তে শোষণ করা তাপের পরিমাণ যদি বেশি হয় তবে আমরা বুঝি যে বস্তুটি ঠান্ডা। বস্তুটির এই যে তাপের আদান-প্রদান তার পুরো ব্যাপারটাই নির্ভর করবে বস্তুটির তাপমাত্রার উপর। বিজ্ঞানী প্রিভোস্ট এও বলেন যে একই তাপমাত্রায় থাকা দুটি বস্তু একে অন্যের সাথে সমান সমান তাপের আদান-প্রদান করবে।এবার বুঝতে পেরেছো আশা করি কেন তাপ নির্গত হয়।