Nishat Tasnim
রোগটির নাম হাইপারট্রিকোসিস বা ওয়্যার উলফ সিন্ড্রোম। এটি মূলত হরমোনের তারতম্যজনিত অসুখ।
এর ফলে দেহে অস্বাভাবিক ভাবে চুল গজাতে থাকে। আজব এই রোগটি বংশগতও হতে পারে। ছেলে কিংবা মেয়ে যে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের নানা জায়গায় চুল গজাতে শুরু করে, স্বাভাবিক ভাবে সেসব স্থানে চুল জন্মায় না। অনেকে এই সমস্যাটি নিয়েই জন্ম নিতে পারে আবার অনেকের ক্ষেত্রে পরিণত বয়সে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত রোগীর দেহ ধীরে ধীরে অনেকটা নেকড়ে বা ওয়্যার উলফের মত হয়ে যায়। প্রাচীনকালে এমন কোন ব্যক্তিকে নিয়েই হয়তো শুরু হয়েছিলো নানা কাল্পনিক ব্যাখ্যা।
২০১৫ সালে এএফপিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে আসে ওয়্যার উলফ সিন্ড্রোমে আক্রান্ত এক ব্যক্তির কথা।
মেক্সিকো সিটির জেসাস আকিভস। আর দশজন সাধারণ মানুষের মতো নয় তার জীবন। বাইরে বের হলে নিজের মুখ ঢেকে রাখতে হয়। কারণ ৪১ বছর বয়সী আকিভস এক বিরল রোগ ‘হাইপারট্রিকোসিস’ এ আক্রান্ত। তার সমস্ত শরীর ও মুখে অস্বাভাবিক লোমে ছেয়ে গেছে, দেখতে নেকড়ের মত মনে হয়। পুরো পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া মাত্র ৫০ জন ‘হাইপারট্রিকোসিস’রোগীর মধ্যে ১৩ জনই মেক্সিকোর লরেটো শহরের একই পরিবারের সদস্য। সেই পরিবারেরই একজন আকিভস। শারীরিক এই সীমাবদ্ধতার কারণে কমবয়সে স্কুল ত্যাগ, চাকরি না পাওয়া এমন বিভিন্ন প্রতিকূলতার শিকার হতে হয়েছে তাকে।
‘হাইপারট্রিকোসিস’ রোগে চুলের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ছাড়া আর কোনো উপসর্গ নেই। শুধু শারীরিকভাবে অন্যদের চাইতে আলাদা হওয়ার কারণে সারাজীবন অস্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হয় এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের।
©সংগ্রহীত