ইন্টারনেট পুরো দুনিয়ার মানুষ ব্যবহার করে এবং পুরো দুনিয়ার মানুষ তাদের তথ্য এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় গ্রহন এবং প্রেরন করে তাই ইন্টারনেটে তথ্য আদান প্রদান করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা বা অ্যাড্রেস এর প্রয়োজন পড়ে। আর এই নির্দিষ্ট অ্যাড্রেসটিই হলো আইপি অ্যাড্রেস। আইপি অ্যাড্রেস (IP Address) এর পুরো নাম হলো “ইন্টারনেট প্রোটোকল অ্যাড্রেস” (Internet Protocol Address)।
সাধারন আইপি অ্যাড্রেসের ভেতর চারটি সেকশন থাকে এবং এর প্রত্যেকটি সেকশনে জিরো থেকে শুরু করে 255 পর্যন্ত লিমিট থাকে। এটি একটি ৩২ বিট নির্ভর অ্যাড্রেসিং সিস্টেম। এই অ্যাড্রেসের একটি উদাহারন হলো “202.18.32.103”। এটি প্রত্যেকের জন্য একটি করে ইউনিক অ্যাড্রেস থাকে। এবং এই সাধারন অ্যাড্রেসকে বলা হয় আইপিভি৪ (IPv4) অ্যাড্রেস। অর্থাৎ এটি ইন্টারনেট প্রোটোকল অ্যাড্রেসের চতুর্থ নাম্বার সংস্করণ। কিন্তু এই আইপিভি৪ রে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর তা হলো এই আইপিভি৪ কেবল মাত্র চার বিলিয়ন ইউনিক আইপি জেনারেট করতে পারে [আইপিভি৪ অ্যাড্রেস লিমিট “৪,২৯৪,৯৬৭,২৯৬]। আপনি যদি চার বিলিয়নের বেশি অ্যাড্রেস তৈরি করতে চান তবে আমার তা প্রথম থেকে জেনারেট হওয়া শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু এখানে বিষয় হলো ইউনিক অ্যাড্রেসের, কেনোনা প্রত্যেক জনের কাছে অবশ্যই আলদা আলদা অ্যাড্রেস থাকতে হবে। হয়তো যখন প্রথমবার এই আইপিভি৪ সিস্টেম বানানো হয়েছিলো তখন হয়তো এটা ধারনায় করা হয়নি যে বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এতোটা বেড়ে যাবে, বা এক এক ব্যাক্তির কাছে ৩-৪ টা ডিভাইজ থাকবে। তো সম্ভবত তারা ধারণা করতে পারেন নি যে, ঠিক আমাদের কত গুলো আইপি অ্যাড্রেসের প্রয়োজন পড়বে ভবিষ্যতে। আজকের দিনে আইপিভি৪ অ্যাড্রেস লিমিট চার বিলিয়ন যা একদম শেষ হয়ে গিয়েছে। এবং আমাদের কাছে নতুন অ্যাড্রেস একদমই নেই।
আইপিভি৬ (IPv6) হলো ১২৮ বিট এর একটি অ্যাড্রেসিং সিস্টেম। এর একটি উদাহরণ হলোঃ “3ffe:1900:4545:3:200:f8ff:fe21:67cf”। আইপিভি৬ দিয়ে “৩৪০,২৮২,৩৬৬,৯২০,৯৩৮,৪৬৩,৪৬৩,৩৭৪,৬০৭,৪৩১,৭৬৮,২১১,৪৫৬” টি ইউনিক অ্যাড্রেস জেনারেট করা সম্ভব। অর্থাৎ চিন্তা করতে পারছেন, এই সিস্টেমের মাধ্যমে প্রত্যেকটি মানুষের কাছে যদি কয়েক লাখ ডিভাইজও থাকে তবেও ইউনিক অ্যাড্রেস ব্যবহার করে শেষ করা সম্ভব হবে না।
~Collected