Nishat Tasnim
চোখের মধ্যে কতকগুলি নালী আছে। কান্নার নালী ঠিক চোখের কোণায় থাকে। কাঁদার সময় এই নালীতে বেশি পরিমাণ পানি এসে জমা হয়। আর অন্য নালী দিয়ে সেই পানি বের হয়ে আসে। এটাই চোখের পানি। কখনো কখনো হাসলেও চোখ দিয়ে পানি পড়ে , কারণ হাসির সময় মাংসপেশী কান্নার নালীকে ছোট করে ফেলে। ফলে চোখের পানি বের হয়ে আসা শুরু করে। এ কারণেই কান্না ও হাসির সময় চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে আসে।
স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ল্যাক্রিমাল ফ্লুয়িড ন্যাসো-ল্যাক্রিমাল নালীর (nasolacrimal duct) মধ্য দিয়ে চোখ থেকে নাকের গহ্বরে এসে পৌঁছায়। সেখানে এসে এটি নাকের মিউকাসের সাথে মেশে। কিন্ত পরিমাণটা এত কম থাকে যে, সেটা নাক দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসার প্রয়োজন পড়ে না।
যখন আবেগে থাকে(সেটা দুঃখ, কষ্ট, আনন্দ, হাসি যাই হোক না কেন), তখন ল্যাক্রিমাল গ্ল্যান্ড অতিরিক্ত পরিমাণে ল্যাক্রিমাল ফ্লুয়িড তৈরি করে , যা আপনার চোখ দিয়ে কান্না হিসেবে বেরিয়ে আসে।
ল্যাক্রিমাল ফ্লুয়িডের গন্তব্য যেহেতু থাকে চোখ থেকে নাকের গহ্বরের দিকে, তাই অতিরিক্ত ফ্লুয়িড উৎপাদিত হলে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে সেগুলো বেয়ে বেয়ে নাকে চলে আসে। এই অতিরিক্ত ফ্লুয়িড নাকের গহ্বরে রাখার জায়গা থাকে না। নাক দিয়েও "ল্যাক্রিমাল ফ্লুয়িড উইথ মিউকাস" বেরিয়ে আসতে আরম্ভ করে। আপনি যত বেশি পরিমাণে চোখের পানি ফেলবেন, নাক দিয়েও তত বেশি পানি পড়বে। আর এই জন্য নাক ও বন্ধ থাকে।
©bmb+bdnews24