নিশাত তাসনিম
সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে দীর্ঘ সময় ধরে ৬ ঘণ্টা বা তার কম সময় ঘুমালে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ওবেসিটি এবং কোলেস্টেরল বৃদ্ধির মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় দিগুণ বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। অন্যদিকে যারা প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান, তাদের মধ্যে এমন রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে খুব একটা দেখা যায় না। সেই সঙ্গে হঠাৎ মৃত্যুর আশঙ্কাও এদের বাকিদের তুলনায় কম থাকে।
হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে: চিকিৎসকদের মতে, জীবনযাত্রা বা অন্য নানা কারণে যাদের এমনিতেই হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে, তারা যদি কম সময় ঘুমান, তাহলে এই সম্ভবনা আরও বেড়ে যায়। কারণ ঘুমের পরিধি যত কমতে থাকে, তত হার্টের কর্মক্ষমতা কমতে শুরু করে। ফলে হার্টের রোগ তো হয়ই, সেই সঙ্গে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ ঠিক মতো না হওয়ার কারণে নানাবিধ ব্রেন ডিজিজ হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। সম্প্রতি আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের তত্ত্বাবধানে ১৩৪৪ জন প্রাপ্ত বয়স্কের উপর একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। তাতে সবাইকে এক রাত্রি "স্লিপ লাইব্রেরি"তে কাটানোর অনুরোধ করা হয়। সারা রাত প্রত্যেকের ঘুমের প্যাটার্ন লক্ষ করার পর গবেষকরা জানতে পেরেছিলেন, পরীক্ষায় যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে প্রায় ৩৯.২ শতাংশেরই ওজন বেশি। সেই সঙ্গে কোলেস্টরল এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যাও রয়েছে। কারণ তাদের প্রত্যেকেরই রাতের বেলা ঠিক মতো ঘুম হয় না। এবার বুঝতে পারছেন তো শরীরে সুস্থ রাখতে ঘুম হল একটি প্রয়োজনীয় অস্ত্র, যাকে হারনো মানে মৃত্যু নিশ্চিত!
তাহলে উপায়: যে কেরেই হোক দৈনিক ৭-৮ ঘন্টার কম ঘুমনো কোনও ভাবেই চলবে না। তাই তো রাত জেগে ফেসবুক বা সোসাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি বন্ধ করতে হবে। এক সমীক্ষা বলছে, ফোন ঘাটার চক্করেই বেশিরভাগের ঘুমাতে অনেক দেরি হয়ে যায়। এদিকে অফিস যাওয়ার চক্করে সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে হয়। ফলে ঘুমের কোটা কমতে শুরু করে। সেই কারণেই রাত ১১ টার পর ফোনকে টাটা বাইবাই বলে ঘুমনোর চেষ্টা চালাতে হবে। তা না হলে বিপদ!
©বিডি প্রতিদিন