কুকুর, ঘোড়া যেকোনো প্রাণী ; বরঞ্চ মানুষের মতই স্ত্রী ফেরেটের ডিম্বানুর পরিস্ফুটন ঘটে। তথা বুঝা যায়, সঙ্গমের আগ পর্যন্ত এদের বাচ্চা জন্মদানের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিম্বানু উৎপাদন ঘটে না। ডিম্বাণু পরিস্ফুটনের প্রক্রিয়া ফেরেটদের জন্য একধরনের ফিজিক্যাল ট্রমা-ই বটে। তবে, স্ত্রী যত যৌনমিলনে লিপ্ত হবে তত বেশি আঘাত/ট্রমা তাকে সহ্য করতে হবে এবং সে তত বেশি পরিমানে ডিম্বাণু উৎপাদন করতে হবে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, স্ত্রী ফেরেটের যৌনমিলনের পর যদি ওভ্যুলেশন/ডিম্বস্ফোটন না ঘটে তবে তাকে বারবার সঙ্গমে লিপ্ত হতে হবে এবং এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে। প্রক্রিয়াটি যতবার চলবে তার রক্তনালী থেকে ততবেশি এস্ট্রোজেন ক্ষরণ হবে।
এস্ট্রোজেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি হরমোন।মহিলাদের সেক্সুয়াল বৈশিষ্ট্যের জন্য এটিই দায়ী। কিন্তু এই হরমোন অতিরিক্ত ক্ষরণের ফলে এটি অস্থিমজ্জা (Bone Marrow)-কে রক্তকনিকা তৈরিতে বাধা প্রদান করে। যার ফলপ্রসূ, স্ত্রী ফেরেট মারা যেতে পারে।
তবে এরূপ সমস্যা হলে কিছু লক্ষ্মণ দেখা যায় যা হাইপারএস্ট্রোজেনিজম (Hyperoestrogenism) হিসেবেই পরিচিত।
১. Constant Oestrus Behaviours : এক্ষেত্রে সাধারণত ক্ষুদামন্দা কাজ করে ও যোনিপথ লালচে থাকে।
২. Anaemia : লাল রক্তকণিকার উপস্থিতি কমে যায়।
৩. Panleukopenia : শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ কমে যায় ও বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হয়।
৪. Thrombocytopenia : অণুচক্রিকার পরিমাণও কমে যায় এবং বিভিন্ন রোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
এছাড়াও শরীরের লোম উঠে যেতে দেখা যায়।
তবে ভয়ের কিছু নেই! এই ধরনের সমস্যা এড়াতে বেশ কিছু পদ্ধতি আছে যা কিছুটা হলেও কার্যকরী!
রেফারেন্স:
https://hayvets.co.uk/is-it-true-that-ferrets-get-ill-if-they-dont-have-sex/