Nishat Tasnim
গান্ধি পোকার তলদেশে রয়েছে একধরণের নিঃসারক গ্রন্থি। এসব গ্রন্থিতে সঞ্চিত থাকে অ্যালডিহাইড। এই অ্যালডিহাইডই গান্ধি পোকা নিঃসরণ করে যখন সে বিপদ অনুভব করে থাকে। এই অ্যালডিহাইডের উচ্চ ঘনত্বের কারণে এই ছোট্ট পোকা থেকে এত বিকট গন্ধ পাওয়া যায়। গান্ধী পোকা মূলত আত্মরক্ষার জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। প্রতিকূল পরিবেশ থেকে নিজেকে রক্ষা করা প্রতিটি জীবেরই একটি বৈশিষ্ট্য।
আপনি কোন কিছুর গন্ধ নেন, তখন গন্ধের অনুভূতি সৃষ্টিকারী অণুগুলো আপনার নাকের ছিদ্র দিয়ে ভেতরে ঢোকে। আপনার নাকের ভেতরে যে গন্ধ-অনুভতি বহনকারী 'রিসেপ্টর' বা 'গ্রাহক-কোষ' আছে - তা ঢাকা থাকে একরকম আঠালো তরল দিয়ে - যাকে বলা হয় মিউকাস। সেই মিউকাসে গন্ধের অনুভূতি সৃষ্টিকারী অণুগুলো আটকে যায়।
নাকের ভেতরের রিসেপ্টরগুলো হচ্ছে একরকমের কোষ যা উদ্দীপ্ত হলে মস্তিষ্কে বৈদ্যুতিক 'সিগন্যাল' পাঠায়।
মানুষের নাকের ভেতর এরকম ৪০০ রিসেপ্টর আছে, তার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন গন্ধের জন্য আলাদা রিসেপ্টর আছে। তারা মস্তিষ্কের নিউরনের ভিন্ন ভিন্ন সাড়া সৃষ্টি করে, তৈরি হয় গন্ধের অনুভূতি।
মানুষের পক্ষে এক লক্ষ কোটি প্রকারের গন্ধ আলাদা আলাদাভাবে অনুভব করা সম্ভব।
যখন আমাদের মস্তিষ্ক বুঝে যে কোনো কিছুর গন্ধ খারাপ মানে তার স্বাদও খারাপ তখন আমাদের মুখে থুতু আসে।
©সংগ্রহীত