Nishat Tasnim
দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক কুসংস্কার প্রচলিত যা বিশ্বাস না করলেও নিজের অজান্তেই কেউ কেউ মেনে চলেন। এরমধ্যে একটি হলো জোড়া কলা খেলে যমজ বাচ্চা হয়। উপকথাগুলোতে দেখা যায় সন্তানহীনা নারীকে কোনো সন্ন্যাসী বা ফকির জোড়া ফল খেতে দিচ্ছেন। তারপর সেই ফল খেয়ে ওই নারী গর্ভবতীও হচ্ছেন।
যমজ বাচ্চা হওয়ার পেছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হলো— নারীর একই ঋতুচক্রে একই সঙ্গে দু’টি ডিম্বাণু নির্গত হয়। যদি এই দু’টি ডিম্বাণু আলাদা আলাদা দু’টি শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়, তাহলে যমজ সন্তানের জন্ম হতে পারে। এই নিষেকের ফলে যে শিশুদের জন্ম হয়, তাদের ‘মোনোজাইগোটিক টুইন’ বলা হয়। এদের গায়ের রং, চোখের মণির রং, রক্তের বৈশিষ্ট্য এক হতে পারে, আলাদাও হতে পারে। এছাড়া অপর একটি প্রক্রিয়ায়ও যমজ সন্তান গর্ভে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে ডিম্বাশয় থেকে একটি মাত্র ডিম্বাণু নির্গত হয়ে শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়। কিন্তু পরে কোষসংখ্যা বৃদ্ধির জটিল ক্রিয়ায় তার বিভাজন ঘটে এবং যমজ ভ্রূণে পরিণত হয়। এদের ‘ডাইজাইগোটিক টুইন’ বলা হয়। এদের চেহারা, রক্তের গ্রুপ এমনকী চরিত্রবৈশিষ্ট্যও হুবহু হয়ে থাকে। সুতরাং জোড়া কলা বা জোড়া ফল খাওয়ার সঙ্গে যমজ বাচ্চা হওয়ার কোনো সম্পর্কই নেই।
©বিডি-প্রতিদিন