গ্রামবাংলায় ডিম নিয়ে প্রচলিত রয়েছে নানা ধরনের শ্রুতি, ভুল ধারণা। এর মধ্যে প্রচলিত একটি ভুল ধারণা হচ্ছে মুরগীর পেটের অপরিণত ডিম খেলে সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা হারাবে।
মুরগীর পেটের অপরিণত নরম ডিমকে বলা হয় Eyerlekh। মাত্র জবাই করা মুরগীর পেটে এমন ডিম পাওয়া যায়। অপরিণত নরম ডিমে সাধারণ ডিমের মতো সাদা অংশ থাকেনা, অর্থাৎ ডিমের পুরো অংশটাই থাকে ফ্যাট। ডিমে যেমন সাদা বা বাদামী রঙের শক্ত খোলস থাকে অপরিণত ডিমে তেমন কোনো খোলস থাকেনা। বরং ফ্যাট পাতলা ঝিল্লিতে আবৃত থাকে। অপরিণত ডিম অনেকে ডিমের কুসুমের মতো ভাবেন। সাধারণ ডিমের কুসুম তরল পদার্থের মতো। অন্যদিকে অপরিণত ডিম পুরু, অনেকটা গলিত পনির এর মতো।
অপরিণত ডিম ছোট থেকে বড় নানা আকৃতির হতে পারে। কিছু অপরিণত ডিমে নরম বা অপূর্ণ খোলস থাকে। মুরগীর পেটে একটি দুটি নয়, বহু সংখ্যক অপরিণত ডিম পাওয়া যায়। ডিমের রঙ হালকা হলুদ থেকে গাঢ় কমলা হয়। অপরিণত ডিম সাধারণ বয়স্ক মুরগীর পেট থেকে পাওয়া যায়, এমন ডিম প্রোটিনের ভালো উৎস। মুরগীর পেটের ডিম নানান দেশে নানাভাবে রান্না করে খাওয়া হয়। সিদ্ধ করে, স্যুপ হিসেবে, পাস্তা বা মুরগীর মাংসের সাথে খাওয়ার প্রচলন বেশি। অপরিণত ডিম উপাদেয় খাবার। এমন ডিম খাওয়ার সাথে সন্তান জন্ম না হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই, নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
© নিশাত তাসনিম (সায়েন্স বী)