Nishat Tasnim-
মানুষ যখন হাটে তখন হাটার জন্য একটা কৌণিক ভরবেগ তৈরি হয়। কৌণিক ভরবেগ বেশি হলে হাটার সময় মানুষ উলটে পরে যেতে পারে। তাই হাটার সময়ে আমাদের ডান পা সামনে আগালে বাম হাত পেছনে যায় এবং একইভাবে বাম পা সামনে গেলে ডান হাত পেছনে যায়। এখানে মূলত এক পা সামনে যাওয়ার কারণে যে কৌণিক ভরবেগ তৈরি হয়েছে তা কমিয়ে আনার জন্য বিপরীত দিকের হাত পেছনে যায়। এভাবেই হাত পা এর বিপরীত দিকে চলার জন্য যে বিপরীতমুখী বলের সৃষ্টি হয় তা মোট লব্ধ কৌণিক ভরবেগকে কমিয়ে আনে এবং দেহের ভারসাম্য প্রদান করে।
এখন মানুষ যদি পায়ের সাথে হাত না নড়িয়ে স্থির রাখে তাহলে কৌণিক ভরবেগের কারণে যেন মানুষ পরে না যায় সেজন্য দেহকে অতিরিক্ত শক্তি খরচ করতে হয়। আর যদি পা এর সাথে হাতের নাড়াচাড়া স্বাভাবিকের চেয়ে উলটো হয় তাহলে ভারসাম্য বজায় রাখতে দেহকে আরও বেশি শক্তি ব্যয় করতে হয়।
পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় বলা যায়, Center of Gravity যথাস্থানে রাখতেই পায়ের সাথে সাথে হাত সামনে পিছনে দোলাতে হয়। পা চালনার সাথে সাথে হাত স্থির রেখে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যে হাটতে পারবেন না, দৌড়াতে গেলে ভারসাম্য হারিয়ে পড়েই যেতে পারে। এটি আমাদের মানুষের একটি অভিযোজনিক আচরণ। এই হাত পা একই সাথে আগে পিছনে নেওয়ার মাধ্যমে মানুষ নিজের ভারসাম্য বজায় রাখে।
©bb+নিশাত