ধারণা করা হয়, বিখ্যাত ইতালীয় বিজ্ঞানী গ্যালিলিও তার বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা পর্যবেক্ষণের জন্য টাওয়ারটি ব্যবহার করেছিলেন। টাওয়ারের মাঝের ছাদ থেকে ঝুলে থাকা এক ঝাড়বাতি দেখে গ্যালিলিও তার বিখ্যাত দোলন সূত্রগুলোর কথা প্রথম চিন্তা করেন বলেও জানা যায় । বিখ্যাত ইতালীয় বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি। বলা হয়ে থাকে, গ্যালিলিও তার এক বিখ্যাত সূত্র ‘ বায়ুশূন্য পরিবেশে ভিন্ন ভিন্ন ভরের পড়ন্ত বস্তুর গতিবেগ সমান‘ প্রমাণের জন্য এই টাওয়ারটি বেছে নিয়েছিলেন। গিনি ও পালকের পরীক্ষার একটি অংশ তিনি দুটি ভিন্ন ভিন্ন ভরের কামানের গোলার সাহায্যে হাতে কলমে পরীক্ষা করেছিলেন পিসার টাওয়ার থেকেই। কিন্তু এর কোনো বিশ্বস্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মূলত এই কাহিনীটি সূচনা করেছিলেন গ্যালিলিওর এক ছাত্র ও তার সহকারী ভিনসেনজিও ভিভিয়ানি । এই ভিভিয়ানী তার গুরু গ্যালিলিওর আত্মজীবনী লিখেছিলেন। তিনি গ্যালিলিওর শেষ জীবনে গুরুর সাথে থাকতেন এবং তাকে পড়ে শোনাতেন। ভিনসেনজিও ভিভিয়ানি। অনুমান করা হয়, ১৬৫৪ সালে ভিভিয়ানী গ্যালিলিওর জীবনী লেখার সময় বেশ কিছু কাল্পনিক কাহিনীর আশ্রয় নেন। গ্যালিলিওর জীবনীতে তিনি পিসার হেলানো টাওয়ারে পরীক্ষাটির কথা উল্লেখ করেন। গ্যালিলিও নিজে কখনোই এমন পরীক্ষা করেছেন বলে তার কোনো তথ্যসূত্র পাওয়া যায়নি। কথিত গ্যালিলিও গ্যালিলির পরীক্ষাসমূহের স্মৃতির ফলক।
Source : factbd , somokal