ঝিনুকের মধ্যে মুক্তো কিভাবে তৈরি হয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+25 টি ভোট
357 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (15,170 পয়েন্ট)
পূনঃপ্রদর্শিত করেছেন

3 উত্তর

+7 টি ভোট
করেছেন (105,570 পয়েন্ট)
পূনঃপ্রদর্শিত করেছেন
ঝিনুকের খোলসে যথাক্রমে Periostracum, Prismatic ও Nacreous নামের তিনটি প্রধান স্তর থাকে যার সবচেয়ে ভেতরের স্তরটির নাম Nacreous। এই Nacreous স্তরটিকে “Mother of Pearl” বলা হয় কারণ এখান থেকেই মুক্তা তৈরির উপাদান Nacre নিঃসৃত হয় যা ক্যালসিয়াম কার্বনেট ও কংক্রিওলিন নামের প্রোটিন দিয়ে তৈরি। ঝিনুকের দেহে ম্যান্টল টিস্যু (Mantle tissue) নামের একপ্রকারের বিশেষ টিস্যু থাকে। এই ম্যান্টল টিস্যুতে যখন কোন বাহ্যিক বস্তুকণা, ক্ষুদ্র প্রাণি বা অণুজীব প্রবেশ করে তখন এরা অনুপ্রবেশকারীকে পরজীবি হিসেবে ধরে নেয় এবং শারীরিক প্রতিরক্ষার অংশ হিসেবে বস্তুটিকে ঘিরে Pearl sac তৈরি করে। এই Pearl sac এ তারা Nacre নির্গত করে । এই আবরণটি ম্যান্টল টিস্যুতে প্রবেশকৃত কণাটিকে সম্পূর্ণ আবৃত করে ফেলে ধীরে ধীরে। এভাবেই প্রবেশকৃত কণাটিকে ঘিরে মুক্তা তৈরি হয়। মুক্তার আকার অনুপ্রবেশকৃত কণাটির আকার অনুসারে নির্ধারিত হয়। কৃত্রিম ভাবে মুক্তা চাষের সময় সার্জারির মাধ্যমে ঝিনুকগুলোর ম্যান্টল টিস্যুতে অন্য ঝিনুকের কাঁটা ম্যন্টল টিস্যু বা বিভিন্ন আকারের বস্তুকণা প্রতিস্থাপন করে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চাষের আওতায় রেখে মুক্তা সংগ্রহ করা হয়। সংগ্রহ করার পর মুক্তাগুলোকে পলিশিং ও প্রক্রিয়াজাত করে বাজারজাত করা হয়।
0 টি ভোট
করেছেন (135,490 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
করেছেন (5,600 পয়েন্ট)
ঝিনুকের পেটে মুক্তা তৈরির প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল। ঝিনুক একটি বাইভালভিয়ান প্রাণী, যার অর্থ এর দেহ দুটি অংশে বিভক্ত। ঝিনুকের খোলস তৈরি করে একটি স্তর যাকে ম্যান্টল বলা হয়। ম্যান্টল একটি বিশেষ ধরনের তরল তৈরি করে যাকে ন্যাক্রে বলা হয়। ন্যাক্রে হলো এক ধরনের খনিজ পদার্থ যা ঝিনুকের খোলস তৈরি করে।

ঝিনুকের খোলস খোলা থাকা অবস্থায় যদি কোনো খাদ্যকণা, পরজীবি বা অন্য কোনো পদার্থ ঝিনুকের ম্যান্টলের মধ্যে আটকা পড়ে, তাহলে ঝিনুকের দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে ওঠে। ঝিনুকের ম্যান্টল সেই পদার্থটিকে ন্যাক্রে দিয়ে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করে। এই প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে। একসময় আচ্ছাদিত সেই বস্তুটি মুক্তায় পরিণত হয়।

মুক্তা তৈরির জন্য ঝিনুকের কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন। ঝিনুকটি অবশ্যই একটি মাসল শ্রেণীর ঝিনুক হতে হবে। এই শ্রেণীর ঝিনুকের ম্যান্টল ন্যাক্রে তৈরি করার ক্ষমতা বেশি থাকে। এছাড়াও, ঝিনুকটিকে এমন একটি পরিবেশে বসবাস করতে হবে যেখানে খাদ্য এবং শত্রু থেকে রক্ষা পেতে পারে।

প্রাকৃতিকভাবে মুক্তা তৈরি হতে অনেক সময় লাগে। এটি সাধারণত ৫ থেকে ১০ বছর সময় লাগে। তবে, মুক্তা চাষের মাধ্যমে এই সময় কমিয়ে আনা সম্ভব। মুক্তা চাষে ঝিনুকের খোলসের মধ্যে একটি ক্ষুদ্র বস্তু স্থাপন করা হয়। এই বস্তুটিকে কেন্দ্র করে ঝিনুক ন্যাক্রে তৈরি করে এবং মুক্তা তৈরি করে। মুক্তা চাষে মুক্তা তৈরির সময় সাধারণত ১ থেকে ২ বছর হয়।

মুক্তা বিভিন্ন রঙের হতে পারে। সাধারণত মুক্তা সাদা, গোলাপি, বা ধূসর রঙের হয়ে থাকে। তবে, অন্যান্য রঙের মুক্তাও পাওয়া যায়। মুক্তার মান নির্ভর করে এর আকার, রঙ, এবং মসৃণতার উপর। বড়, সুন্দর, এবং মসৃণ মুক্তা বেশি মূল্যবান।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+12 টি ভোট
3 টি উত্তর 2,227 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 483 বার দেখা হয়েছে
25 জুন 2021 "বিবিধ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Nusaiba Nahia Tiasha (5,800 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 356 বার দেখা হয়েছে
+7 টি ভোট
1 উত্তর 245 বার দেখা হয়েছে

10,776 টি প্রশ্ন

18,477 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

290,216 জন সদস্য

68 জন অনলাইনে রয়েছে
7 জন সদস্য এবং 61 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. GrohanuMax

    700 পয়েন্ট

  2. Md Sumon Islam

    120 পয়েন্ট

  3. H.I Srijon

    110 পয়েন্ট

  4. saleh

    110 পয়েন্ট

  5. flycry7

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত বাংলাদেশ কান্না আম হরমোন
...