যদিও মানুষের শরীরের কর্মদক্ষতা আমরা ইঞ্জিন এর যেভাবে গননা করি সেভাবে করলে হবে না কেননা মানব শরীর শক্তি জমা রাখতে সম্ভব ফ্যাট হিসাবে। আর মানুষের শরীরের উতপাদিত শক্তির বিরাট একটি অংশ ব্যয় করে মানব শরীরের মস্তিষ্ক
তবুও আমরা যদি এসব দিক বিবেচনার বাইরে রাখলে মানব শরীরের chemical potential energy এর দ্বারা পরিবেশ এ কাজ করার ক্ষমতা প্রায় ২৫%
মানে ১০০টাকা খরচ করে আমরা পাই ২৫ টাকার কাজ।
যদিও আমাদের শরীরের কর্মদক্ষতা ১০০% না তবুও কিন্তু আমাদের আশেপাশে যেসব গাড়ী চলে তার চেয়ে অনেক ভালো মানব শরীর। কারণ আমাদের আশেপাশে যেসব গাড়ী চলে এসব এর কর্মদক্ষতা প্রায় ২০% বা তার চেয়ে কম।
যদি আমরা সবচেয়ে বেশী কর্মদক্ষতা কার এটা বলি তবে সে দিক থেকে Electric motor যাদের অশ্বক্ষমতা ১০০HP এর বেশী তাদের কর্মদক্ষতা প্রায় ৯৫%।
কিছু গ্যাস টার্বাইন / ইলেক্ট্রিক জেনারেটর আছে যাদের কর্মদক্ষতা প্রায় ৬০%, যদি এসব ইঞ্জিন এর উতপাদিত তাপশক্তি কে কাজে লাগানো যেত তবে এদের কর্মদক্ষতা হতো প্রায় ৯০% এর কাছাকাছি।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় Diesel ইঞ্জিন "Wartsila-Sulzer RTA96-C" যেটি টার্বচার্জড two-stroke diesel ইঞ্জিন, এর কর্মদক্ষতা প্রায় ৫০% এর বেশি।
আপনি জানেন কী মানুষের শরীর উতপাদিত শক্তির প্রায় ৭০% শক্তি ব্যয় হয় মস্তিষ্ক এর পেছনে।
Courtesy : AbhiIDT