মৃগী (Epilepsy) রোগ কেন হয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+7 টি ভোট
663 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (123,340 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (123,340 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর

Nishat Tasnim- 

মৃগী (Epilepsy) রোগ একটি নিউরোলজিক্যাল বা স্নায়বিক রোগ এবং এতে খিঁচুনি হয়। এটি একপ্রকার মস্তিষ্কের রোগ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে “নিউরোলোজিক্যাল ডিজিজ” বলা হয়। মৃগী রোগ যে কোনো বয়সে হতে পারে৷ এটা কোনো সংক্রামক রোগ নয়৷ এই রোগের প্রকৃত কারণ জানা যায়নি কিন্তু জন্মগত ত্রুটি, মস্তিষ্কে আঘাত, মস্তিষ্কে টিউমার বা সংক্রমণ, স্ট্রোক প্রভৃতিকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। জিনগত মিউটেশনকেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দায়ী বলে ধারনা করা হয়। মস্তিষ্কের সেরেব্রাল কর্টেক্সের স্নায়ুকোষগুলোর অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক ক্রিয়ার ফলে খিঁচুনি হয়। এ রোগে রোগী বারবার স্নায়বিক কারণে ফিট অর্থাৎ হঠাৎ খিচুনি বা অজ্ঞান হয়ে যায়। মৃগী রোগের একটি বৈশিষ্ট্য হলো রোগী বার বার খিঁচুনিতে আক্রান্ত হয় কিন্তু আক্রান্তের পর আবার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়৷ মৃগী রোগ থাকলেই ব্যক্তির বুদ্ধি-বিচার-বিবেচনা বোধ কমে যাবে এমন ধারনাটা সঠিক নয়। বরং মৃগী রোগে আক্রান্তদের মধ্যে খুব কম অংশের বুদ্ধিমত্তার ঘাটতি হতে পারে।

মৃগী রোগের প্রকৃত কারণ জানা এখনও সম্ভব হয়নি। তবে মাথায় আঘাত পেলে, প্রসবজনিত জটিলতা অথবা দেরিতে প্রসব হলে, মস্তিস্কে প্রদাহ হলে, মস্তিস্কে টিউমার হলে, জন্মগত ত্রুটি, স্ট্রোক এবং অধিক পরিমান মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে মৃগী রোগ হতে পারে।

মৃগী রোগে খিঁচুনি হঠাৎ শুরু হয়ে কিছুক্ষণ পর এমনিতেই থেমে যায়। সাধারণত এ ধরনের অ্যাটাক আধা মিনিট বা এক মিনিট সময় ধরে হয়। প্রকৃত পক্ষে এ জন্য কোনো কিছু করার দরকার নেই। অনেকে অস্থির হয়ে রোগীর হাত-পা চেপে ধরে, মাথায় পানি দেয় আবার অস্থির হয়ে মুখে ওষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করে, চামড়ার জুতা বা গরুর হাড় বা লোহার শিক ইত্যাদি মুখে চেপে ধরে। কিন্তু এসব কোন কিছুই করার দরকার নেই। এসবে কিন্তু কোনো কাজ হয় না, বরং ক্ষতিই বেশি হয়। রোগটি নিজে নিজেই থেমে যাবে এবং রোগী ঘুমিয়ে পরবে। কারও কারও খেত্রে, মাথাব্যথা হতে পারে।

0 টি ভোট
করেছেন (141,820 পয়েন্ট)

যেগুলো শিশু বয়সে হয়, এগুলোর মধ্যে মস্তিষ্কের ছবি তোলার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে, যেমন—সিটি স্ক্যান অব দ্য ব্রেইন, এমআরআই। উন্নত মানের ইমেজিং পদ্ধতি রয়েছে, এতে কোনো কিছু পাওয়া যায় না। সেগুলোকে প্রাইমারি ইপিলিপসি বলে বা কারণবিহীন মৃগীরোগ বলা হয়।

আর ৪০ বা এর বেশি বয়সের মানুষের হঠাৎ খিঁচুনি হলো সেটার নানাবিধ কারণ থাকতে পারে। তার মস্তিষ্কে টিউমার থাকতে পারে। হয়তো তার স্ট্রোক হয়েছে, তার হঠাৎ করে খিঁচুনি হলো। একে সেকেন্ডারি ইপিলিপসি বা মৃগীরোগ বলে। তার একটি নির্দিষ্ট কারণ আছে এবং এটি সাময়িক। যে কারণের জন্য হচ্ছে, সেটি সংশোধন করার পর তার খিঁচুনি বন্ধ হয়ে যাবে।

ক্রেডিট: এনটিভি

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+4 টি ভোট
1 উত্তর 235 বার দেখা হয়েছে
19 ফেব্রুয়ারি 2021 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন নোশিন মাহি (7,940 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 135 বার দেখা হয়েছে
15 নভেম্বর 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 154 বার দেখা হয়েছে
15 নভেম্বর 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 108 বার দেখা হয়েছে
+5 টি ভোট
1 উত্তর 637 বার দেখা হয়েছে
20 ফেব্রুয়ারি 2021 "বিবিধ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hasan Rizvy Pranto (39,270 পয়েন্ট)

10,726 টি প্রশ্ন

18,371 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

241,539 জন সদস্য

50 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 50 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Ahnaf_Tahmid

    330 পয়েন্ট

  3. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  4. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  5. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ তাপমাত্রা রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...