হোমিওপ্যাথি আর এলোপাথি-এর মধ্যে পার্থক্য
০১. এলোপ্যাথির মাধ্যমে বহু রোগের ক্ষেত্রে দ্রুত ফলাফল নিয়ে আসা যায় কিন্তু ৫০% ক্রনিক রোগই এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় নির্মূল হয় না। তরুন রোগের ক্ষেত্রে এলোপাথির চেয়েও দ্রুত ফলাফল দেয় হোমিওপ্যাথি। তাছাড়া ক্রনিক রোগের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথির পঞ্চাশ সহস্রোতমিক ঔষধ প্রয়োগ করা হলে সেগুলিও দ্রুত নির্মূল হয়ে যায়।
০২. এলোপ্যাথিক ঔষধের পার্শপ্রতিক্রিয়ার ফলে আরো দুরারোগ্য রোগের জন্ম হয়। যেমন ব্যথার ঔষধ খেলে কিডনি নষ্ট হতে থাকে। অপর দিকে হোমিওপ্যাথির তেমন কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই। অর্থাৎ ব্যথার জন্য হোমিও ঔষধ খেলে আপনার কিডনি নষ্ট হবে না।
০৩. বহু রোগ রয়েছে যেগুলির মূলত কোন এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই। সেসব ক্ষেত্রে এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা আন্দাজ অনুমান ভিত্তিক চিকিৎসা দিয়ে থাকে, তাই রোগ কিছুটা কমলে একেবারে রোগ কখনই সাড়ে না, এই যেমন - আইবিএস, পাইলস, ফিস্টুলা, ভেরিকোসিল, স্পার্মাটোসিল ইত্যাদি ইত্যাদি। অপর দিকে সার্জারী বহির্ভুত ৯০% রোগের চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি একাই কভার করে যা একক ভাবে অন্যকোন চিকিৎসা পদ্ধতি করতে পারে না।
০৪. এলোপ্যাথিক ঔষধ ইতর শ্রেণীর জীবজন্তুর উপর পরিক্ষিত এবং মানব শরীরে বহু পার্শপ্রতিক্রিয়া জন্ম দিয়ে থাকে। হোমিও ঔষধ মানব শরীরে পরীক্ষিত। ফুর্মলা অনুযায়ী ঔষধ প্রয়োগ করলে রোগ সেরে যায়। কিন্তু ঔষধটি মানব শরীরে কিভাবে কাজ করছে সেই বিষয়টি নিয়ে আজও কোন ফান্ড নেই যার ফলে এর বৈজ্ঞানিক গবেষণাও নেই। হোমিওপ্যাথির লোকজন এই বিষয়টি নিয়ে মাথাও ঘামান না কারণ ফুর্মলা অনুযায়ী হোমিও ঔষধ প্রয়োগ করলে রোগ সেরে যাচ্ছে সেটাই তাদের কাছে প্রধান বিষয়।
০৫. এলোপাথির চিকিৎসা শাস্ত্রের নিজস্ব কোন সংবিধান নেই। প্রতিনিয়ত গবেষণা করে করে এলোপ্যাথি দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে আর কিছু কিছু ঔষধের মারাত্মক পার্শপ্রতিক্রিয়ার ফলে একসময় নিষিদ্ধ হচ্ছে। অপরদিকে হোমিওপ্যাথির নিজস্ব সংবিধান এবং ঔষধের প্রয়োগ প্রণালী রয়েছে। ২০০ বছর আগে যে ঔষধটি যেভাবে ফল দিতো আজও সেই হোমিও ঔষধটি সেভাবেই ফল দিচ্ছে।
০৬. এলোপ্যাথিক ঔষধের সংখ্যা অনেক কম। হোমিওপ্যাথির যে পরিমান ঔষধ রয়েছে তার চার ভাগের এক ভাগ ঔষধও এলোপ্যাথি আজ পর্যন্ত আবিস্কার করতে পারে নি বরং জটিল পার্শপ্রতিক্রিয়া জন্ম দেয়ার কারণে বহু এলোপ্যাথিক ঔষধ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।