কলমের কালির কোন নির্দিষ্ট রাসায়নিক উপাদান নেই। বিভিন্ন কোম্পানী তাদের নিজেদের সুবিধা মত রাসায়নিক ব্যবহার করে। তবে সাধারণত যে উপাদানগুলো ব্যবহার করা হয় তাদের সম্পর্কে নিচে লিখা হল। মূল উপাদানঃ যেকোন ধরণের কালির মূল উপাদান হল ডাই এবং পিগমেন্ট। ডাই হল পানিতে সম্পূর্ণ দ্রবীভূত একপ্রকার রঙ্গিন পদার্থ। অন্যদিকে পিগমেন্ট হল রঙ্গিন পাওডার। বলপয়েন্ট কলমের কালিতে শুধু ডাই থাকে কেননা পিগমেন্টের দানা বলের সাথে লেগে থেকে প্রতবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও প্রয়োজন অনুযায়ী কালিতে পানি, তেল বা অ্যালকোহল ব্যবহার করা হয়। তেলের কারনেই বলপয়েন্টের কালি মোটা গাঁড় হয়, তাড়াতাড়ি শুকায় এবং স্থায়ী হয়। কালির রঙঃ সাদাঃ সাদা কালিতে পিগমেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয় টাইটেনিয়াম ডাইঅক্সাইড যা টাইটেনিয়াম হোয়াইট হিসেবেও পরিচিত। কালঃ কালো কালির কাল রঙ আসে কার্বন থেকে। সব কালো কালির অপরিহার্য উপাদান হল কার্বন। লালঃ লাল কালির লাল রঙ আসে ইয়োসিন অথবা পটাসিয়াম ফেরিক সায়ানাইড থেকে। নীলঃ নীল কালির জন্য ব্যবহার করা হয় ট্রাইফিলাইলমিথেন ডাই, কৃস্টাল ভায়োলেট, কিউপ্রিক অ্যামোনিয়াম সালফেট ইত্যাদি। অন্যান্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিকঃ গাম অ্যারাবিকঃ গাম অ্যারাবিক একটি সোনালি রঙের জটিল পলিস্যাকারাইড যা Accacia গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। গ্লুকোরোনিক এসিড, Rhamnose, Arabinose, প্রোটিন এবং গ্যালাক্টোজের সমন্বয়ে এটি গঠিত। কালির অণুগুলোকে একসাথে ধরে রেখে চিকন ধারায় প্রবাহিত করার জন্য কালিতে গাম অ্যারাবিক যোগ করা হয়। ফেরাস সালফেটঃ সোদক ফেরাস সালফেট বা আয়রন (II) সালফেট যা সবুজ ভিট্রিওল নামেও পরিচিত পানি ও গ্যালিয়িক এসিডের সাথে মিশ্রিত করে ফাউন্টেন পেনে ব্যবহার করা হয়। লঘূ হাইড্রোক্লোরিক এসিডঃ কলমের কালির একটি সাধারণ উপাদান হল লঘূ হাইড্রোক্লোরিক এসিড। গাম অ্যারাবিক ও গ্যালিয়িক এসিডের সাথে হাইড্রোক্লোরিক এসিড মিশ্রিত করে কালিতে ব্যবহার করা হয়। ইথিলিন গ্লাইকল ও প্রপিলিন গ্লাইকলঃ ডাই ও অন্যান্য উপাদানকে দ্রবীভূত করার জন্য দ্রাবক রুপে এরা ব্যবহৃত হয়। ফেনলঃ কালিকে সংরক্ষণ করার জন্য ও অনেক দিন টিকিয়ে রাখার জন্য ফেনল বা কার্বলিক এসিড আগে ব্যবহার করা হত। আরো অনেক উপাদান আছে। কলমভেদে উপাদানও বিভিন্ন রকম হয়।
প্রধান উপাদানঃ
ডাই এবং পিগমেন্ট হচ্ছে যেকোন ধরণের কালির প্রধান উপাদান । ডাই হচ্ছে পানিতে সম্পূর্ণ রূপে দ্রবীভূত হতে পারে এমন এক প্রকার রঙ্গিন পদার্থ । অন্যপ্রান্তে পিগমেন্ট হচ্ছে রঙ্গিন পাওডার ।
বলপয়েন্ট কলমের কালিতে কেবল মাত্র ডাই থাকে কোন প্রকার পিগমেন্ট থাকে না কেননা পিগমেন্টের দানা বলের সাথে লেগে থেকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে থাকে ।
এগুল বাদেও প্রয়োজন অনুসারে কালিতে তৈরিতে পানি, তেল বা অ্যালকোহল মিশানো হয় । তেল ব্যাবহারের কারনেই বলপয়েন্টের কালি মোটা গাঁড় হয়, তাড়াতাড়ি শুকায় এবং স্থায়ী হয়।
কালির রঙঃ
সাদাঃ
সাদা রঙের কালিতে পিগমেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয় টাইটেনিয়াম ডাইঅক্সাইড যা আবার টাইটেনিয়াম হোয়াইট হিসেবেও পরিচিত ।
কালঃ
কালো রঙের কালির কাল রঙ আসে কার্বন থেকে । কার্বন হচ্ছে সব কালো কালির অপরিহার্য উপাদান ।
লালঃ
লাল রঙের কালির লাল রঙ আসে ইয়োসিন অথবা পটাসিয়াম ফেরিক সায়ানাইড থেকে ।
নীলঃ
নীল রঙের কালির জন্য ব্যবহার করা হয় ট্রাইফিলাইলমিথেন ডাই, কৃস্টাল ভায়োলেট, কিউপ্রিক অ্যামোনিয়াম সালফেট এবং অন্যান্য ।
অন্যান্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিকঃ
গাম অ্যারাবিকঃ
গাম অ্যারাবিক একটি সোনালি রঙের জটিল পলিস্যাকারাইড যা Accacia গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয় । গ্লুকোরোনিক এসিড, Rhamnose, Arabinose, প্রোটিন এবং গ্যালাক্টোজের সমন্বয়ে এটি গঠিত হয় ।
কালির অণুগুলোকে একসাথে ধরে রেখে চিকন ধারায় প্রবাহিত করার জন্য কালিতে গাম অ্যারাবিক যোগ করা হয়।
ফেরাস সালফেটঃ
সোদক ফেরাস সালফেট বা আয়রন (II) সালফেট যা সবুজ ভিট্রিওল নামেও পরিচিত পানি ও গ্যালিয়িক এসিডের সাথে মিশ্রিত করে ফাউন্টেন পেনে ব্যবহার করা হয় ।
লঘূ হাইড্রোক্লোরিক এসিডঃ
কলমের কালির একটি সাধারন উপাদান হল লঘূ হাইড্রোক্লোরিক এসিড । গাম অ্যারাবিক ও গ্যালিয়িক এসিডের সাথে হাইড্রোক্লোরিক এসিড মিশ্রিত করে কালিতে ব্যবহার করা হয় ।
ইথিলিন গ্লাইকল ও প্রপিলিন গ্লাইকলঃ
ডাই ও অন্যান্য উপাদানকে দ্রবীভূত করার জন্য দ্রাবক রুপে এরা ব্যবহৃত হয় ।
ফেনলঃ
কালিকে সংরক্ষণ করার জন্য ও অনেক দিন টিকিয়ে রাখার জন্য ফেনল বা কার্বলিক এসিড আগে ব্যবহার করা হত।