সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রাপ্ত বয়ষ্ক একজন ব্যক্তির দিনে ৭–৮ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন। গভীর ঘুমের মাধ্যমে আমাদের মানসিক ও শারীরিক দুইভাবেই বিশ্রাম সম্পন্ন হয়। সুস্থ থাকতে গভীর ঘুম সবার জন্যই অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রধানত দুধরনের ঘুম হয়ঃ
১. REM– রেমঃ-
সারা রাতের পাঁচ ভাগের এক ভাগ আমাদের এই ঘুমে কাটে। রেম ঘুমের সময় আমাদের মস্তিষ্ক সজাগ থাকে, আমাদের মাংসপেশি শিথিল থাকে, আমাদের চোখ এদিক থেকে ওদিকে ঘুরতে থাকে এবং আমরা স্বপ্ন দেখি।
২. NonREM– নন রেমঃ-
এই ঘুমের সময় আমাদের মস্তিষ্ক নিষ্ক্রিয় থাকে, তবে শরীর নড়াচড়া করতে পারে। এই সময় হরমোন নি:সৃত হয় এবং দিনের ক্লান্তি দূর হয়ে শরীর আবার সতেজ হয়ে ওঠে। নন রেম ঘুমের চারটি স্তর আছে।
১। ঘুমের আগের স্টেজ - মাংসপেশি শিথিল হয়, হৃদস্পন্দন কমে আসে, শরীরের তাপমাত্রা কমে।
২। হাল্কা ঘুম - এই স্টেজে সহজেই ঘুম ভেঙ্গে যায়, চারপাশ সম্বন্ধে স্বাভাবিক সচেতনতা থাকে।
৩। ‘স্লো ওয়েভ ঘুম’ – ব্লাড প্রেসার কমে, এই স্টেজে লোকে ঘুমের ঘোরে হাটে বা কথা বলে।
৪। গাঢ় ‘স্লো ওয়েভ ঘুম’ – ঘুম সহজে ভাঙতে চায় না। ভেঙ্গে গেলে চারপাশ সম্বন্ধে স্বাভাবিক সচেতনতা থাকে না। গভীর রাতে সাধারণত আমরা এই স্টেজে প্রবেশ করি।
ঘুমের এই ৩য় ও ৪র্থ ধাপে সাধারণত আমাদের আশেপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা থাকেনা, তখন আমরা ঘুমের মাঝে কিছু অনুভব করতে পারিনা, বিশেষত ৪র্থ ধাপে।
আমরা রাতে রেম এবং ননরেম ঘুমের মধ্যে থাকি, অন্তত পাঁচবার এই স্টেজগুলি ঘুরে ঘুরে আসে। সকালের দিকে আমরা বেশি স্বপ্ন দেখি। ঘুমিয়ে যাবার প্রথম ৯০ মিনিট পর সাধারণত প্রথম REM শুরু হয়, যা ১০ মিনিটের মত স্থায়ী হয়। চক্রাকারে এমন চলতে চলতে সর্বশেষ REM ধাপ ১ ঘন্টার কাছাকাছি স্থায়ী হতে পারে।
তবে অনেক সময় ঘুমের মাঝে হাল্কা শব্দেও ঘুম ভেঙে যায়। আবার অপরিচিত জায়গায় সহজে ঘুম আসতে চায়না। অপরিচিত পরিবেশে মস্তিষ্কের বাঁ পাশের কিছু অংশ জেগে পাহারা দেয়, অন্য পাশ গভীর ঘুমে অচেতন থাকে।
তথ্যসূত্র: rcpysc, গুগল, কারেন্ট বায়োলজি।