সকালের নাস্তা ডিম ছাড়া অসম্পূর্ণ। সারাবিশ্বে ডিম
অন্যতম পুষ্টিকর খাদ্য।এটি তাদের প্রোটিন উপাদানের
জন্য আরো বেশি মূল্যবান। এতদসত্ত্বেও,একটা প্রশ্ন
থেকেই যায়,কাঁচা নাকি রান্না করা ডিম,কোনটি অধিক
উপকারী। কাঁচা খাওয়ার উপকারিতা এবং
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে বিষয়টি ক্লিয়ার হওয়া যায়ঃ
১)পরিপাকে/হজমে অসুবিধাঃকাঁচা ডিমের উপরিভাগে
কিংবা ভিতরে সালমোনেলা নামক ক্ষতিকর
ব্যাক্টেরিয়া থাকে,যেটা খাদ্যাদি অপাচ্য করে,ফুড
পয়েজনিং করে।রান্না করলে এইসব ক্ষতিকর এবং
অপ্রত্যাশিত ব্যাক্টেরিয়া থেকে রেহাই মেলে।যদিও
কাঁচা ডিম পুষ্টিকর এবং উচ্চ প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট,
ভিটামিন, মিনারেলের উৎস,তাও কাঁচা ডিম না খাওয়াই
গ্রহনীয়।
২)নিম্ন প্রোটিন পরিশোষণঃকাঁচা ডিম খাওয়ার কারণে
প্রোটিন পরিশোষণ কমে যায়।অপরদিকে,রান্না করা
ডিমে অধিক প্রোটিন শোষিত হয়।কিছু পুষ্টি উপাদান
যেমন -ভিটামিন এ,বি৫,ফসফরাস এবং পটাসিয়াম কিছুটা
কমে যায়।
৩)বায়োটিন ঘাটতিঃবায়োটিন পানিতে দ্রবণীয় বি-
ভিটামিন বি৭।কাঁচা ডিমের সাদা অংশে এভিডিন নামক
প্রোটিন নামে যেটি পাকস্থলীর বায়োটিনের সাথে
যুক্ত হয়ে এটিকে জিআই ট্র্যাকে পরিশোষণে বাধা দেয়।
রান্না করলে এভিডিন নষ্ট হয় এবং বায়োটিন ঘাটতির
ঝুঁকি কমে।বায়োটিন ঘাটতি যদিও বিরল,এটি চুল পড়া
এবং ত্বকে সমস্যা করতে পারে।
৪)গর্ভাবস্থায় খিঁচুনিঃকাঁচা ডিম ইউটেরিয়াসে খিঁচুনির
ঝুঁকি বাড়ায়।ইউটেরিয়াসের খিঁচুনির ফলে প্রি-ম্যাচিউর
বেবি হওয়ার চান্স থাকে!