বেশিরভাগ পুরুষেরাই দেখা বংশগতভাবে টেকো হয়ে থাকে অর্থাৎ তাদের মাথায় টাক পড়ে থাকে। মাথায় টাক পড়ার বিষয়টা আসলে এক ধরনের হরমোনের কম বেশি হওয়ার সাথে যুক্ত। মূলত ৫-আলফা রিডাকটেজ নামক একটি এনজাইমের কারণে মানুষের শরীরে থাকা টেস্টোস্টেরন নামক হরমোনটি যেটি বয়:সন্ধিকালে বেশি হয়ে থাকে সেটি ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরনে(ডিএইচটি)পরিণত হয়ে থাকে। এই ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরন মাথার চুলের ফলিকলে এক ধরনের প্রতিকূল অবস্থার তৈরি করে। এই হরমোন রিসেপটরটির কারণে চুলের গ্রোথ নষ্ট হয়ে যায়, চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে, চুল পড়ে এবং মাঝে মাঝে চুলের গ্রোথ একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। এই কারণে মূলত অনেকেই টেকো হয়ে যান।
তবে দেখা যায় যে মেয়েদের মাথার ত্বকে ফ্যাটের অতিরিক্ত একটি স্তর রয়েছে। এই অতিরিক্ত স্তরটির কারণেই হরমোনের প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও নারীরা টেকো হয় না বা তাদের মাথায় টাক পড়ে না।
এছাড়া ত্বক বিশেষজ্ঞ ক্যাটো মর্ক বলেন, টেস্টোস্টেরন হরমোনটি পুরুষদের চুলে যেভাবে প্রতিক্রিয়া করে ঠিক সেভাবে নারীদের চুলে করতে পারে না।
তথ্যসূত্র : নেকড সাইনটিস্ট
তবে মেয়েদের যে একেবারেই টাক পড়ে না, এটি ভুল। বিস্তারিত পড়ুনঃ এলোপেসিয়া কী? কেন হয়?