বোস চেয়ার কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+12 টি ভোট
1,259 বার দেখা হয়েছে
"বিবিধ" বিভাগে করেছেন (25,790 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (25,790 পয়েন্ট)

Nishat Tasnim
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ‘বোস প্রফেসরশিপ’, যা বোস চেয়ার নামে পরিচিত। পদার্থবিজ্ঞানে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বোসের নামে এ পদটি সৃষ্টি হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, শিক্ষকদের মতানৈক্যের কারণে কিছুদিন ধরে কাউকে এ পদে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হয়নি।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও সাবেক সহ-উপাচার্য অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে অনেক বার বিভাগের সমন্বয় ও উন্নয়ন কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কাকে এ পদে মনোনয়ন দেওয়া হবে, সে বিষয়ে শিক্ষকদের মতৈক্য না হওয়ায় কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।’
বিভাগের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা বলেন, মূলত ব্যক্তিগত রেষারেষির কারণে এ পদের মনোনয়ন বারবার থমকে গেছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সত্যেন বোস ১৯২১ সালে সদ্য প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রিডার’(বর্তমানে সহযোগী অধ্যাপক) হিসেবে যোগ দেন। পরে ১৯২৭ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত তিনি বিভাগীয় চেয়ারম্যান এবং পাশাপাশি ১৯২৭ থেকে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত থাকার সময়েই সত্যেন বোস তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গবেষণা কাজগুলো করেন। ১৯২৪ সালে মৌলিক কণার এক পরিসংখ্যান তত্ত্ব আবিষ্কার করেছিলেন তিনি। এ জন্য তাঁর সম্মানে ওই কণার নাম হয় বোসন। পরবর্তী সময়ে তাঁর ওই গবেষণা ‘বোস আইনস্টাইন পরিসংখ্যান’ নামে বিশ্বখ্যাত হয়ে ওঠে। ৪ জুলাই ইউরোপীয় গবেষণা সংস্থা সার্নের বিজ্ঞানীরা ঈশ্বর কণা হিসেবে পরিচিত যে হিগস বোসন কণার অস্তিত্ব নিশ্চিত হওয়ার আলোড়ন তোলা ঘোষণা দিয়েছেন, সেই কণা ওই পরিসংখ্যান মেনে চলে।
খ্যাতনামা এই বিজ্ঞানীর স্মরণে ১৯৭৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ‘বোস প্রফেসর’-এর পদ অনুমোদন করে। পদার্থবিজ্ঞানে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিন বছর মেয়াদে একজন গবেষককে মনোনয়ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁর মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর ব্যবস্থা রাখা হয়।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক উপাচার্য আবদুল মতিন ১৯৭৪ সালে প্রথম বোস প্রফেসর হিসেবে মনোনয়ন পান। ১৯৮১ সালে মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি এ পদে ছিলেন। এরপর ১৯৮৪ সালের ২৮ মার্চ তিন বছরের জন্য বোস প্রফেসর হন এম এ এম মুহাতাশাম হোসেন। পরে দুই বছরের জন্য তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়। ১৯৮৯ সালের ২৭ মার্চ মুহাতাশাম হোসেনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরদিনই নিয়োগ দেওয়া হয় অধ্যাপক এম হারুনুর রশিদ খানকে। পরবর্তী সময়ে তাঁর এলপিআরের পর ১৯৯৩ সালের ৩০ জুন থেকে মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়। ১৯৯৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর হারুনুর রশিদ খানের মেয়াদ শেষ হয়। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত আর কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
0 টি ভোট
করেছেন (43,930 পয়েন্ট)
প্রখ্যাত বাঙালি পদার্থবিদ সত্যেন বোসের নামানুসারে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে 'বোস চেয়ার' প্রবর্তিত হয় ১৯৭৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে পদার্থবিদ্যার নামকরা কোনো অধ্যাপক এ পদে নিয়োগ পান। কিন্তু গত চার দশকেরও বেশি সময়ে এ পদে মাত্র তিনজন অধ্যাপক নিয়োগ পেয়েছেন।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+9 টি ভোট
3 টি উত্তর 525 বার দেখা হয়েছে
19 অক্টোবর 2020 "বিবিধ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন বিজ্ঞানের পোকা ৫ (123,400 পয়েন্ট)
+12 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,790 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 736 বার দেখা হয়েছে
+19 টি ভোট
2 টি উত্তর 598 বার দেখা হয়েছে
15 জানুয়ারি 2019 জিজ্ঞাসা করেছেন Nadim (10,200 পয়েন্ট)

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

272,694 জন সদস্য

47 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 47 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Shariar Rafi

    420 পয়েন্ট

  2. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  3. Shourov Viperr

    110 পয়েন্ট

  4. Khandoker Farhan

    110 পয়েন্ট

  5. Eyasin

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...