মানবদেহে ঘুম মূলত দুইটি প্রক্রিয়ার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। একটি হলো Homeostatic Sleep Drive এবং অপরটি Circadian Rhythm। সারাদিন জেগে থাকার সময় মস্তিষ্কে Adenosine নামক হরমোন জমতে থাকে, যা ক্লান্তি বাড়ায় এবং ঘুমের চাপ তৈরি করে। রাতে ঘুমানোর সময় Adenosine এর পরিমাণ কমে যায়, ফলে শরীর ও মস্তিষ্ক বিশ্রাম পেয়ে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
কিন্তু যদি রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হয়, তাহলে দিনের বেলা ক্লান্তি বেশি হয় এবং মনোযোগ কমে যায়। যার কারণে অনেক মানুষ দুপুরে ছোটখাটো ঘুম নেন, যা ঘুমের চাপ কমিয়ে শরীরকে সতেজ করে তোলে।
তবে দুপুরে ঘুমালে রাতের ঘুমে প্রভাব পড়ে। কারণ দুপুরের ঘুমের ফলে Adenosine কমে যায় এবং Circadian Rhythm কিছুটা ব্যাহত হয়, যার ফলে রাতের ঘুম দেরিতে আসে। এককথায় বলতে গেলে, সারাদিনের ঘুম এবং সতেজতা একটি রাসায়নিক ভারসাম্য ও জৈবিক ঘড়ির ওপর নির্ভরশীল।