রক্তের বা পারিবারিক কোনো সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও, পৃথিবীতে কীভাবে দুই বা ততোধিক মানুষের চেহারা প্রায় হুবহু মিলে যেতে পারে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
33 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (440 পয়েন্ট)
মানুষের চেহারা, শারীরিক গঠন ও আচরণ নির্ধারিত হয় তার জিন (DNA)-এর মাধ্যমে। প্রতিটি মানুষ তার বাবা ও মায়ের কাছ থেকে ২৩টি করে মোট ৪৬টি ক্রোমোজোম পায়, যা তার জিনগত গঠন নির্ধারণ করে। এই ক্রোমোজোমগুলোর মধ্যে থাকা নির্দিষ্ট জিনসমূহ চেহারার বৈশিষ্ট্য, যেমন: চোখ, নাক, মুখের গঠন, চুল ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে। সন্তান জন্মের সময় শুক্রাণু ও ডিম্বাণু তৈরির সময় জেনেটিক রিকম্বিনেশন ও অন্যান্য কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিবারই একদম নতুন জিনগত কম্বিনেশন তৈরি হয়, যা প্রতিটি মানুষকে অনন্য করে তোলে।

এই প্রাকৃতিক জিনগত বৈচিত্র্যের কারণেই একজন পুরুষ ও একজন নারীর মাঝে প্রায় ৬৪ ট্রিলিয়ন ভিন্ন ভিন্ন জেনেটিক কম্বিনেশন সম্ভব, যার ফলে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ দেখতে আলাদা হয়। তবে এত বিপুল সম্ভাবনার মাঝে কিছু কিছু মানুষ দেখতে কাছাকাছি হয়ে যেতে পারে, যাদের বলা হয় 'ডোপেলগ্যাঙ্গার' (Doppelganger)। এদের মধ্যে রক্তের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও মুখাবয়বের গঠন, চোখের আকৃতি বা অন্যান্য বৈশিষ্ট্যে মিল পাওয়া যায়।

তবে হুবহু চেহারার মিল সাধারণত শুধুমাত্র একই ডিম্বাণু ও একই শুক্রাণু থেকে জন্ম নেওয়া আইডেন্টিক্যাল জমজদের (identical twins) মধ্যেই দেখা যায়, কারণ তাদের DNA একদম একরকম হয়। অন্য সব ক্ষেত্রে চেহারার মিল ঘটলেও সেটা নিছক জেনেটিক কাকতালীয়তা (genetic coincidence) মাত্র। পরিবেশ, খাদ্যাভ্যাস ও এপিজেনেটিক পরিবর্তনের কারণে দেহের বাহিরের অংশে ভিন্নতা আসে। তাই পৃথিবীতে হুবহু একই চেহারার মানুষ পাওয়া অত্যন্ত বিরল, কিন্তু মিল থাকাটা বৈজ্ঞানিকভাবে পুরোপুরি সম্ভব।

1 উত্তর

0 টি ভোট
পূর্বে করেছেন (210 পয়েন্ট)
## **রক্তের সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও মানুষের চেহারা মিলের বৈজ্ঞানিক কারণ**

 

আমরা প্রায়ই দেখি, সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবার বা অঞ্চলের দুই ব্যক্তি দেখতে আশ্চর্যজনকভাবে একরকম। বিজ্ঞান এ ঘটনাকে ব্যাখ্যা করে কয়েকটি কারণে—যা জিনগত, পরিবেশগত, বিকাশজনিত ও মানসিক প্রক্রিয়ার মিলিত প্রভাব।

 

### ১) **বহুজিনগত প্রভাব**

 

মানুষের মুখের গঠন এক বা দুটি নয়, শতাধিক জিনের সম্মিলিত প্রভাবে নির্ধারিত হয়। আলাদা আলাদা জিনের সংমিশ্রণ থেকেও একই ধরনের মুখের বৈশিষ্ট্য গড়ে উঠতে পারে। অর্থাৎ ভিন্ন জিনগত বিন্যাস থেকেও প্রায় একই ফেনোটাইপ (বাহ্যিক রূপ) পাওয়া সম্ভব।

 

### ২) **বিকাশজনিত সীমাবদ্ধতা**

 

শিশু অবস্থায় মুখমণ্ডলের হাড়, চোখ, নাক ও চোয়ালের গঠন একটি নির্দিষ্ট ধারা অনুসরণ করে। প্রকৃতির এই নির্দিষ্ট “পথ” বা ধারা মুখের সম্ভাব্য আকৃতির পরিসরকে সীমিত করে দেয়। ফলে পৃথিবীতে এত মানুষের মাঝেও অনেকের মুখের বৈশিষ্ট্য কাছাকাছি হতে পারে।

 

### ৩) **দূরবর্তী বংশগত মিল**

 

মানুষের মধ্যে হাজার বছরের পুরোনো বংশগত সংযোগ বিদ্যমান। একই ভৌগোলিক অঞ্চলে জন্ম নেওয়া মানুষের জিনগত বৈশিষ্ট্যের মিল থাকার সম্ভাবনা বেশি। তাই রক্তের সরাসরি সম্পর্ক না থাকলেও মুখাবয়বে সাদৃশ্য দেখা দিতে পারে।

 

### ৪) **পরিবেশ ও জীবনধারা**

 

খাদ্যাভ্যাস, পুষ্টি, জলবায়ু, রোগ-ব্যাধি, এমনকি হরমোনের প্রভাবও মুখের গঠন ও ত্বকের বৈশিষ্ট্যে প্রভাব ফেলে। একই ধরনের পরিবেশে বেড়ে ওঠা দুই ব্যক্তি অনেক সময় একই ধরনের শারীরিক বৈশিষ্ট্য অর্জন করে।

 

### ৫) **বাহ্যিক উপাদান**

 

চুলের স্টাইল, দাড়ি-গোঁফ, মেকআপ, চশমা বা পোশাকও মুখের মিল বাড়িয়ে তোলে। একই ধরনের সাজসজ্জা বা অভিব্যক্তি থাকলে দুইজনকে দেখতে আরও বেশি একরকম মনে হয়।

 

### ৬) **সম্ভাবনার নিয়ম**

 

পৃথিবীতে প্রায় ৮০০ কোটি মানুষ রয়েছে। এত বড় সংখ্যার মধ্যে কিছু মানুষের মুখের গঠন প্রায় অভিন্ন হওয়া সম্ভাবনার নিয়মেই ঘটে—এটা বিরল কোনো ঘটনা নয়।

 

### ৭) **মানুষের মস্তিষ্কের মুখ চেনার ধরন**

 

আমাদের মস্তিষ্ক মুখ চিনতে গিয়ে কয়েকটি মূল বৈশিষ্ট্য—যেমন চোখ, নাক ও মুখের অনুপাত—একসাথে মিলিয়ে দেখে। এই প্রক্রিয়ায় সামান্য মিলও অনেক সময় আমাদের কাছে “হুবহু একই” মনে হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 253 বার দেখা হয়েছে
+7 টি ভোট
1 উত্তর 309 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 289 বার দেখা হয়েছে

10,844 টি প্রশ্ন

18,545 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

847,061 জন সদস্য

10 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 10 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Khairul_Alom_Fardush

    140 পয়েন্ট

  2. 58Wineucom

    100 পয়েন্ট

  3. Ev99ws456

    100 পয়েন্ট

  4. gangaa.club

    100 পয়েন্ট

  5. fun88diamondcom

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...