আমরা জানি, পৃথিবী একটি গোলাকার বস্তু এবং এটি নিজ অক্ষে ঘূর্ণন করে। এই ঘূর্ণনের ফলেই পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে সূর্য ওঠা এবং অস্ত যাওয়ার সময় ভিন্ন হয়। এই ভিন্নতার কারণেই পৃথিবীকে বিভিন্ন সময় অঞ্চলে (Time Zone) ভাগ করা হয়েছে। ধরুন, আমি শুক্রবার দুপুর ২টায় বাংলাদেশ থেকে কানাডার টরেন্টো শহরের উদ্দেশ্যে প্লেনে রওনা দিলাম এবং সেখানে পৌছতে সময় লাগলো ১১ ঘণ্টা। এখন, স্বাভাবিক চিন্তা অনুযায়ী, আমাদের যাত্রা শেষে গন্তব্যে পৌঁছানোর সময় হওয়া উচিত শনিবার রাত ১টা। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো, কানাডায় পৌঁছে দেখি ঘড়ির কাঁটা তখনও শুক্রবার দুপুর ২টা!
তাহলে এই ১১ ঘণ্টা গেল কোথায়?
এর পিছনে রয়েছে সময় অঞ্চল। বাংলাদেশ এবং কানাডার টরেন্টো শহরের মধ্যে সময়ের পার্থক্য প্রায় ১১ ঘণ্টা। অর্থাৎ, যখন বাংলাদেশে দুপুর ২টা, তখন কানাডায় আগের দিন রাত ৩টা। আমি যখন প্লেনে করে ১১ ঘণ্টার যাত্রা শেষ করে টরেন্টো পৌঁছালাম, তখন ঘড়ির কাঁটা আবার বাংলাদেশে রওনা দেওয়ার সময়ের মতোই দেখাচ্ছে দুপুর ২টা। এটি একটি বৈজ্ঞানিক বাস্তবতা। যেহেতু আমি পশ্চিম দিকে, অর্থাৎ সময়ের বিপরীতে ভ্রমণ করেছি, তাই আমার জন্য সময় পিছিয়ে গেছে। সময় পার হয়েছে ঠিকই, শরীর বুঝেছে ১১ ঘণ্টার ক্লান্তি, কিন্তু আমি সময় অঞ্চল বদলে ফেলেছি, তাই ঘড়ির কাঁটা আগায়নি।