২০১৩ সালে খাদ্যে ফরমালিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয় বাংলাদেশে৷ একই সাথে খাদ্য সংরক্ষণে যে কোনো অননুমোদিত রাসায়নিক প্রয়োগের অপরাধে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে আইন তৈরি হয়৷ আর ২০১৫ সালে সরকার ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন করে এর ব্যবহার ও আমদানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেয়৷
কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পরিচালক কৃষিবিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ওই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল৷ ফল-মূল এবং শাক-সবজি ফরমালিন দিয়ে সংরক্ষণ করা যায় না৷ আর সংরক্ষণের কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি, যা হয়েছে তা ভ্রান্তি ছাড়া আর কিছুই নয়৷''
তিনি বলেন, ‘‘ফল মূল, শাক-সবজি এগুলো হলো ফাইবার৷ এখানে ফরমালিন দেয়ার কোনো সুযোগই নেই৷ কেউ যদি না বুঝে দেয়ও, তাহলেও কোনো কাজে আসবে না৷ সংরক্ষণে কোনো ভূমিকা রাখবে না৷ কারণ, এখানে কোনো প্রোটিন নেই৷ আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে ধারণা যে, ফল-মূল, শাক-সবজিতে ফরমালিন দেয়া হয়৷ এটা দুর্ভাগ্যজনক৷''
তিনি বলেন, ‘‘আমদানি করা আপেলে এক ধরনের এডিবল প্যারাফিন দেয়া হয়৷ এটা খাওয়ার যোগ্য৷ আমরা আপেল খাওয়ার পর এটা আবার একইভাবে বেরিয়ে আসবে৷ ফল-মূলে ৪০ ভাগ পানি থাকে৷ প্রতিদিন ওজন কমে ৫ থেকে ১০ গ্রাম৷ এখন একটি আপেলের প্রতিদিন যদি ৫ গ্রাম ওজন কমে তাহলে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল থেকে আপেল আসতে সময় লাগে ২১ দিন, আসতে আসতেই হাড্ডিসার হয়ে যাবে৷ কেউ কিনবে না৷ আপনি-আমি যে আপেল খাই, অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও সেই একই আপেল খান৷ বিদেশে গেলে একটা আপেল, একটা মাল্টা নিয়ে আসবেন, দেড় বছরে কিছু হবে না৷ এটা হলো সায়েন্স৷ এটা এডিবল প্যারাফিন দিয়ে করা হয়৷ এখন ফলের খোসা দিয়ে কোটিং তৈরি করা হয়৷ আবার স্টিকার বের হয়েছে, যা ফলের ওপরে লাগানো থাকে, ওই রকম স্টিকার, যা দিয়ে আমের লাইফ দুই সপ্তাহ বাড়ানো যায়৷ এখানে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই৷''
https://www.google.com/amp/s/amp.dw.com/bn/%25E0%25A6%25AB%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A8-%25E0%25A6%25AD%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%25B2-%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%2587-%25E0%25A6%25AD%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%25B2/a-48720038
© এই পোস্টে বিজ্ঞান কই?