সম্প্রতি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সের গবেষকরা হিংবা বা পরশ্রীকাতরতা দূর করার জন্য বিভিন্ন বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছেন। গবেষকরা জানান, আত্মবিশ্বাস ও আত্মনির্ভরশীলতা ছাড়াও নির্দিষ্ট বিষয়কে উপেক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
গবেষকরা জানান, পরশ্রীকাতরতায় যারা নিয়মিত ভোগেন তাদের নিয়মিত মানসিক চাপে পড়তে হয়।
পরশ্রীকাতরতার কারণে তাদের মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং হৃৎস্পন্দন ও রক্তচাপেও প্রভাব পড়ে। এছাড়া মানসিক নানা সমস্যা তৈরি হয় এবং তাদের কর্মক্ষেত্র, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের ওপর এর প্রভাব পড়ে।
এ সমস্যা সমাধানে নির্দিষ্ট বিষয়কে মেনে নেওয়ার অভ্যাস করতে হবে। অপরের সব বিষয়ে মাথা ঘামানো বাদ দিতে হবে।
উপেক্ষা করা শিখতে হবে, যেন অপরের কোনো বিষয় আপনার মনের মাঝে প্রভাব ফেলতে না পারে।
রূপান্তর করুনঃ
আমরা যে সমাজে বাস করি সেখানে সর্বত্রই প্রদর্শন প্রবণতা বিদ্যমান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই নিজে যা নয়, তা হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেন। এ পরিস্থিতিতে অনেকেই অন্যের অবস্থা দেখে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তবে এ পরিস্থিতি আপনি চাইলেই একটু ভিন্নভাবে গ্রহণ করতে পারেন।অনেকেই অন্য মানুষের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করেন। এক্ষেত্রে আপনার কখনোই এ কাজটি করা উচিত হবে না। প্রত্যেকের পরিস্থিতি ভিন্ন- এ বিষয়টি মানতে হবে। তুলনা করে নিজেকে হীনমন্যতার মাঝে নেবেন না। আপনার পরশ্রীকাতরতাকে সম্মানে রূপান্তরিত করুন। আর বন্ধুর কোনো অর্জনকে নিজের অর্জন বলেই মনে করুন।
বন্ধ করুনঃ
আত্মবিশ্বাসী মানুষ কখনোই নিজের হিংসা-বিদ্বেষকে বাড়তে দেয় না। আশপাশের মানুষের কিংবা বন্ধু-বান্ধবের ভালো সংবাদে অনেকেরই পরশ্রীকাতরতা দেখা দিতে পারে। তবে তা যেন বাড়তে না পারে সেজন্য নিজেকেই সতর্ক হতে হয়। ওসব নিয়ে চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণ বন্ধ করার চেষ্টা করতে হয়। যে ফেসবুক পোস্ট, টুইট কিংবা সংবাদে আপনার পরশ্রীকাতরতা তৈরি হয়, সে সংবাদগুলো এড়িয়ে চলুন।
সূত্রঃকালের কণ্ঠ