ভয়েজার ১ ও ২ এতদিন সূর্য থেকে এত দূরে গিয়ে আর কোনোকিছুর সাথে সংঘর্ষ না হয়ে টিকে আছে কিভাবে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
285 বার দেখা হয়েছে
"জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (470 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (470 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন
দুটো যানই মিনিমাল স্টেট এ রান করছে। অর্থাৎ এমন অবস্থা যেখানে এদের সর্বনিম্ন শক্তি খরচ হচ্ছে। ফলে সঞ্চিত শক্তি দীর্ঘসময় ব্যবহার করতে পারছে। যান দুটোকে বানানো হয়েছেই এমন কায়দায় যেন অবস্থা বুঝে স্লিপ আর হাইবারনেট মুড এ যেতে পারে। আর যানদুটো থেকে প্রতিদিন যে সংকেত পাঠানো হয় এমনটাও নয়।

ভয়েজার ১ ও ২ দুটোই সূর্য থেকে অনেক দূরে এটা সত্যি কিন্তু এর ভেতরের যন্ত্রাংশ এদের এখনো বিকল হতে দিচ্ছেনা।

দুটো যানেই ব্যবহৃত হয়েছে সময়ের প্রচলিত প্রযুক্তির চাইতে অনেক বেশি উন্নত এবং বিশেষ বিদ্যুৎ যন্ত্র যাকে Radioisotope Thermoelectric Generator (রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেক্ট্রিক জেনারেটর) বলে , যার মধ্যে থাকা Thermocouple (থার্মোকুপল) যন্ত্রাংশটি আন্তপারমাণবিক পর্যায়ে তাপ শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রুপান্তর করে। ফলে সঞ্চিত শক্তি দীর্ঘসময় ব্যবহার করা যায় নূন্যতম অবস্থায় নিয়ে গিয়ে।

এদের সচল থাকার আরো একটা বড় কারণ হচ্ছে মিনিমাল স্টেট এ খুবই অল্প পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ।বিদ্যুৎ খরচের বা Power Consumption এর ধারণা থাকলে জেনে অবাক হবেন যে যান দুটি নূন্যতম অবস্থায় গোটা একবছর চলতে মাত্র ৪ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করছে! যেখানে বসতবাড়ির একটা রেগুলার সাইজ বা ৫৬ ইঞ্চির ফ্যান গড়পড়তা ১০০ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে প্রতি ঘন্টায়...

এবার আসি কোনো মহাজাগতিক বস্তুর সাথে সংঘর্ষ না হওয়া।

এর পেছনে তিনটা কারণ কাজ করেছে।

১. এদের আকার। সৌরজগতে ,বিশেষকরে Kuiper Belt নামক পাথুরে খন্ডের ঘিঞ্জি বলয় দূর থেকে দেখতে অনেক ঘিঞ্জি মনে হলেও বস্তুগুলোর মধ্যেকার ফাঁপা জায়গা অনেক। বিশেষকরে ভয়েজার ১ ও ২ এর আকারের কাছে এই ফাঁপা জায়গাগুলো যথেষ্ট বিশাল। ফলে ফাঁক গলে বেরিয়ে যাওয়া সহজ।

২. নিতান্ত সৌভাগ্য। আমরা যেমনভাবেই বলিনা কেন, ভয়েজার ১ ও ২ উভয়েরই নিতান্ত সৌভাগ্য বটে। Kuipar Belt এর ঘিঞ্জিগুলোর ফাঁকফোকর ভয়েজারের জন্য বিশাল হলেও সংঘর্ষের সম্ভাবনা ছিল না যে তা কিন্তু নয়। অনেকটা Luck by Chance এর মতই বাধা বিপত্তি পেরিয়ে বেচারা যান দুটো এতদূর চলে যেতে পেরেছে।

৩. এদের প্রজেকশন প্যাথ পা প্রক্ষেপণ পথ নির্ধারণ।

মহাকাশে একটানা ছুটে যেতে আলাদাভাবে কোনো জ্বালানীর প্রয়োজন পড়ে না । মাঝেমাঝে দিক ঠিক রাখতে বিভিন্ন যান জ্বালানী দ্বারা সৃষ্ট ধাক্কা ব্যবহার করে থাকে যাকে Thrust বলে।

কিন্তু সুদীর্ঘ পথে চলতে গিয়ে সেই জ্বালানীও ফুরোবে। তাই ভরসা হচ্ছে এমন পথে যানকে নিক্ষিপ্ত করা যে পথে ঝুঁকি সবচে কম। ভয়েজারযুগলের গতিপথও প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছিল সেভাবে, যেন সেগুলো যতদূর পারা যায় সংঘর্ষের ঝুঁকি এড়িয়ে বহুদূর পথ পাড়ি দিতে পারে।
0 টি ভোট
করেছেন (4,270 পয়েন্ট)

ভয়েজার ১ ও ২ এতদিন সূর্য থেকে এত দূরে গিয়ে আর কোনোকিছুর সাথে সংঘর্ষ না হয়ে টিকে আছে নিম্নলিখিত কারণগুলির জন্য:

  • তারা মহাকাশের একটি অত্যন্ত বিরল অঞ্চলে রয়েছে। সৌরজগতের বাইরে, মহাকাশে বস্তুগুলি খুবই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। ভয়েজার ১ ও ২ এখন পর্যন্ত মহাকাশের একটি অঞ্চলে রয়েছে যেখানে প্রতি ঘন কিলোমিটার গড়ে মাত্র একটি বস্তু রয়েছে।
  • তারা খুব দ্রুত গতিতে চলছে। ভয়েজার ১ ও ২ এর গতি প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৬১ হাজার কিলোমিটার। এই গতিতে তারা মহাকাশের মধ্য দিয়ে খুব দ্রুত যাত্রা করছে, তাই তাদের সংঘর্ষের সম্ভাবনা কম।
  • তারা খুবই শক্ত তৈরি। ভয়েজার ১ ও ২ এর দেহগুলি অ্যালুমিনিয়াম এবং টাইটানিয়াম দিয়ে তৈরি, যা মহাকাশের কঠোর পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী।

ভয়েজার ১ ও ২ এখনও মহাকাশের মধ্য দিয়ে যাত্রা করছে এবং তারা আরও অনেক বছর ধরে টিকে থাকতে পারে।

এখানে কিছু অতিরিক্ত তথ্য রয়েছে যা ভয়েজার ১ ও ২ এর টিকে থাকার সম্ভাবনা আরও ভালভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে:

  • ভয়েজার ১ ও ২ সৌরজগতের বাইরে একটি অঞ্চলে রয়েছে যা বলা হয় "উলফ-রাইট অঞ্চল"। এই অঞ্চলে, সৌর বায়ু খুব দুর্বল, তাই ভয়েজার ১ ও ২ এর গতি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।
  • ভয়েজার ১ ও ২ এর গতি তাদের মহাকর্ষীয় আকর্ষণের বাইরে যেতে সহায়তা করে। তারা এখনও সূর্যের মহাকর্ষের দ্বারা আকর্ষিত হয়, তবে তাদের গতি এত দ্রুত যে তারা সূর্যের চারপাশে ঘুরতে পারে না।
  • ভয়েজার ১ ও ২ এর দেহগুলি মহাকাশের কঠোর পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী। তারা অতিবেগুনী রশ্মি, মহাজাগতিক রশ্মি এবং ধূলিকণা থেকে রক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

ভয়েজার ১ ও ২ মহাকাশ অন্বেষণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তারা আমাদের সৌরজগতের বাইরে মহাকাশ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান প্রসারিত করতে সাহায্য করেছে।

আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন। আপনার যদি কোনো ফিরতি প্রশ্ন থাকে তাহলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। যদি আমার জানা থাকে, অবশ্যই উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ!

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 197 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 161 বার দেখা হয়েছে

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

271,529 জন সদস্য

75 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 75 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Shariar Rafi

    420 পয়েন্ট

  2. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  3. Khandoker Farhan

    110 পয়েন্ট

  4. Eyasin

    110 পয়েন্ট

  5. gk88cash

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...