ছাই হয় কার্বনের যৌগ পোড়ালে। আর পোড়ানো মানে রসায়নের ভাষায় অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া। মনে করুন ১ কেজি বিশুদ্ধ কার্বন যৌগ পোড়াচ্ছেন। তাহলে বিক্রিয়া শেষে আমরা যে ছাই পাই তা অদগ্ধ কার্বন।
মনে করুন বিশুদ্ধ মিথেন পোড়াচ্ছেন। তাহলে এক্ষেত্রে যা হয় তা হলো,
CH4(g) (মিথেন) + 2 O2 (g) (অক্সিজেন) --> CO2(g)(কার্বন ডাই অক্সাইড) + 2 H2O (g) (জলীয় বাষ্প)+ তাপ
এখন আপনি দেখুন বিক্রিয়ার পর কোনো ছাই নেই।
এক্ষেত্রে বিশুদ্ধ কার্বন যৌগ পুড়িয়েছেন বলে আপনি কোনো অদগ্ধ কার্বন বা অবিক্রিয়াকৃত কার্বন নেই। বাষ্প আর কার্বন ডাই অক্সাইড এখানে গ্যাসীয় তাই উড়ে চলে যাবে।
এখন আপনি যদি অবিশুদ্ধ কার্বন যৌগ পোড়ান তাহলে বিক্রিয়ার পর সম্পূর্ণ কার্বন পুড়বে না। কিছু কার্বন C (s) কঠিন পদার্থরূপে ফিরে পাবেন। সেটাই ছাই।
তাহলে আপনার ১ কেজি কার্বন থেকে কিছু অংশ পানি বা বাষ্প হবে, কিছু অংশ কার্বন ডাই অক্সাইড হবে। এগুলো গ্যাসীয় হওয়ায় উড়ে চলে যাবে। বাকি যেটুকু পুড়বেনা সেটাই ছাই হবে। তাহলে ১ কেজি কোনো পদার্থ পুড়িয়ে ১ কেজি ছাই কখনোই পাবেননা। আর আপনি জানেন প্রকৃতি কোনোকিছুই ১০০% বিশুদ্ধ হয়না।
আবার আপনি যদি বিশুদ্ধ যৌগও কম অক্সিজেনের উপস্থিতিতে কিছু পোড়ান, এককথায় কম তাপে পোড়ান তাহলেও ছাই পাবেন।
5 C (s) (কার্বন) + 4 O2 --> 4 CO2 + C (s) + তাপ।
এখানে দেখুন আপনি ১ কেজি কার্বন পোড়ালে ২০০ গ্রাম ছাই (৫ ভাগের এক ভাগ) পাচ্ছেন।
@Monjurul hasan Manik | Science Bee - বিজ্ঞান গ্রুপ